মঙ্গলবার শুরু হয়েছে এসআইআর, আর এই দিনেই মিছিল আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়েছিল বিআর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে। শেষ হয় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে। মঙ্গলবার মিছিল শেষে বক্তৃ়তার সময় কেন্দ্রের বিজেপিকে রীতিমতো তুলোধোনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন নেত্রী।
তৃণমূলনেত্রীর ডেট অব বার্থ নিয়ে অভিযোগ
মমতার নিজের ভোটাধিকার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলে তিনি জানান। তাঁর কথায়, ‘আমাদের সময়ে হোম ডেলিভারি হত, কিন্তু আমরা যখন স্কুলে ভর্তি হয়েছি, আমাদের একটা ডেট অথ বার্থ দেওয়া হয়েছিল। আমি ৭ বার সাংসদ, ৪ বারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও আমার ডেট অফ বার্থ নিয়ে কৈফিয়ত দিতে হবে? আমাদের ভদ্রতা আমাদের দুর্বলতা নয়।’
অভিষেকের ভোটাধিকার নিয়েও অভিযোগ
মমতার পাশাপাশি অভিষেকের ভোটাধিকার নিয়েও নাকি প্রশ্ন তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তৃণমূলনেত্রীর অভিযোগ, ‘অভিষেককে বলছে, তোর পিসির থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে আয়, মানে আমাকে বলছে। ওরা আর পিসি-মাসিকে কী সম্মান দেবে।’
সিরিয়াল দেখে…বুদ্ধি হয়
এসআইআর-এর এই প্রচেষ্টাকে অপরাধমূলক প্রবণতা হিসেবেও ঘুরিয়ে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কথা বলতে গিয়ে তুলে আনেন টেলিসিরিয়ালের প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, ‘আমি তো এখন টেলিসিরিয়ালগুলি দেখি। সেখানে থেকে তো কিছু বুদ্ধি নেয়। কীভাবে ক্রিমিনোলজি তৈরি হয়।’ পাশাপাশি তাঁর কথায়, বাংলা দখলের একটি গুরুতর প্ল্যান চলছে এই মুহূর্তে। বক্তৃতার মাঝে তিনি বলেন, ‘গদিওয়ালারা ভাবছে, যেন তেন ভাবে ২ কোটি লোকের নাম বাদ দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিই, বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিই, কিংবা দেশ থেকে তাড়িয়ে ওদের ক্ষমতা দখল করে নিই।’

এসআইআর-এর সঙ্গে নোটবন্দির প্রসঙ্গ
এসআইআর-এর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা তুলে আনেন নোটবন্দির প্রসঙ্গও। নিজের প্রতিবাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘রাতারাতি নোটবন্দি করে দিল। আমি প্রথম দিন থেকে প্রতিবাদ করেছি। কোনও কালো টাকা ফেরত এসেছে? উপরন্তু গিয়েছ! ১০০-র বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে। বলেছিল, সব কালো টাকা ফেরত আনবে দেশে। LIC-র টাকাও চলে যাচ্ছে, এটাও সেফ নয়।’