সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি কোনও এক আছিলায় ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধাতে চেয়েছিল। দেশের অভ্যন্তরে নিজে নির্বাচন সহ নানান ইস্যুতে চাপে ইউনুস। সেই চাপ থেকে মুক্তি পেতেই ভারতকে উস্কানি দেওয়ার জন্য বিজিবিকে ‘নির্দেশ’ দিয়েছিলেন ইউনুস ঘনিষ্ঠ কর্তারা। আর সেই ইউনুস এবার ব্রিটেনে গিয়ে বলছেন, বাংলাদেশ নাকি ভারতকে বেস্টফ্রেন্ড বানাতে চায়!
মহম্মদ ইউনুস চ্যাথাম হাউজের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা ভারতের সাথে সর্বোত্তম সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই, কারণ এটি আমাদের প্রতিবেশী। আমরা তাদের সাথে কোনও ধরণের মৌলিক সমস্যা রাখতে চাই না। কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সমস্ত ভুয়া খবরের কারণে প্রতিবারই কোনও না কোনওভাবে সবকিছু খারাপ হয়ে যায়।এরপর ইউনুস আরও বলেন, ‘অনেকেই বলে যে ভারতের সংবাদমাধ্যমের এই ভুয়ো খবরের নেপথ্যে শীর্ষস্থানীয় নীতিনির্ধারকদের যোগাযোগ রয়েছে ইত্যাদি। এই কারণেই বাংলাদেশ খুব চিন্তিত, খুব রেগে আছে। আমরা এই রাগ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। কিন্তু… সাইবারস্পেসে এতসব ঘটনা ঘটছে, আমরা এই সব এড়িয়ে যেতে পারছি না।
গত অগস্টে ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে বাংলাদেশে। এর পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। বাংলাদেশ গত কয়েক মাসে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন মোকাবিলায় ব্যর্থ। উগ্রপন্থী ও চরমপন্থীদের শক্তি বেড়েই চলেছে ইউনুসের অধীনে। এর জন্য নয়াদিল্লি প্রায়শই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করে এসেছে। ইউনুস অবশ্য সেই অভিযোগগুলিকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে বর্ণনা করেছেন।

এদিকে সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, ঘরে চাপ কমাতে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধাতে চেয়েছিল মহম্মদ ইউনুসের সরকার। এমনই দাবি করা হল জি নিউজের রিপোর্টে। এদিকে ইউনুসের সেই প্রচেষ্টাকে নাকি বানচাল করে দেন বাংলাদেশি সেনা প্রধান জেনারে ওয়াকার-উজ-জামান। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে দেশের মধ্যে চাপে আছেন ইউনুস। এই আবহে জাতীয়তাবোধের বাঁধনে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং সরকার বিরোধী মনোভাব দূর করতেই ভারতের সঙ্গে সীমান্তে সংঘর্ষ বাঁধাতে চেয়েছিল ইউনুসের সরকার।
স্বরাজ্য ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদনে উদ্ধৃত করে জি নিউজের রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাকি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দল, সামরিক বাহিনী এবং জনসাধারণের অসন্তোষের চাপের মুখে আছেন ইউনুস। এই আবহে তিনি সীমান্তে ভারতের সাথে ছোটখাটো সংঘর্ষের পরিকল্পনা করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর কৌশল ছিল দেশপ্রেমের আড়ালে গিয়ে নিজের সমালোচনা থেকে বাঁচা। একই সাথে তার শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা এড়িয়ে যাওয়া।