Meghalaya Honeymoon Murder Details। রাজার ওয়ালেট থেকেই টাকা নিয়ে খুনিদের দিয়েছিল সোনম

Spread the love

মেঘালয়ের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের জন্য ৪ খুনিকে মোট ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা দিয়েছিল সোনম রঘুবংশী। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, সোনম প্রাথমিকভাবে হামলাকারীদের হাতে নগদ ১৫ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিল। অপরাধের সময় সরাসরি তার স্বামীর মানিব্যাগ থেকে সেই টাকা নিয়ে সে খুনিদের হাতে তুলে দিয়েছিল।

মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে সোনম রঘুবংশীকে গ্রেফতার করে মেঘালয় পুলিশ। পরে ওই রাতেই তাকে শিলংয়ে নিয়ে আসা হয়। এই খুনের ঘটনায় তার কথিত প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এবং তিন সন্দেহভাজন কন্ট্রাক্ট কিলারকে মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর একদিন পরেই সোনম আত্মসমর্পণ করেছিল।এদিকে ইন্দোরের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘রাজ কুশওয়াহা দাবি করেছে যে সে নাকি সোনমকে সমর্থন করতে চায়নি এবং শেষ মুহুর্তে মেঘালয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে। সে বাকি তিনজনকেও যেতে নিষেধ করেছিল। তবে সোনম টিকিট কাটার পর তারা মেঘালয়ে চলে যায়। এমনকি শেষ মুহূর্তে তিনজন খুন করতে অস্বীকার করলেও সোনম জেদ ধরে এবং তাদের ১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলে জানায়। পুলিশ এই দাবিগুলি যাচাই করছে।’

গত ২৩ মে নিখোঁজ হয়েছিল সোনম এবং রাজা। পরে ২ জুন রাজার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল মেঘালয়ের এক খাদ থেকে। এরপর ৯ জুন পুলিশের হাতে ধরা দেয় সোনম। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথমে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল ধৃত সোনম। নিজেকে ভিকটিম হিসাবে পুলিশের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছিল সোনম। সে দাবি করেছিল যে তাকে মাদক দিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল।

পুলিশ তার কাছে পৌঁছে যাবে জেনে সোমন ৯ জুন তার পরিবারকে সোনম জানায় যে সে গাজিপুরে আছে। গাজিপুর-বারাণসী রোডের একটি ধাবায় ছিল সোনম। এরপর সোনমের পরিবার তৎক্ষণাৎ মধ্যপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয়। তারপর সোনমকে গ্রেফতার করা হয়। উত্তরপ্রদেশ থেকে সোনমকে কলকাতা হয়ে শিলংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *