মেঘালয়ের হানিমুন হত্যা মামলায় নতুন একটি নাম উঠে এসেছে – সঞ্জয় বর্মা। এই সঞ্জয়ের সঙ্গে সোনম রঘুবংশী তার বিয়ের আগে ১০০ বারেরও বেশি যোগাযোগ করেছিল। ইন্দোরের ব্যবসায়ী স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার সোনম তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে অভিযোগ। এরই মাঝে তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে এই সঞ্জয় বর্মা।
গত মে মাসে পূর্ব খাসি হিলস জেলার সোহরা এলাকায় মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল রাজাকে। সোনম-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই ঘটনায়। তদন্তের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে খুনের পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। বুধবার পুলিশ প্রকাশ করে, এই সঞ্জয় বর্মা আসলে সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার ব্যবহৃত একটি ছদ্মনাম।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজার সঙ্গে বিয়ের আগে সঞ্জয় বর্মা নামে এক ব্যক্তিকে ১০০ বারের বেশি ফোন করেছিল সোনম। পূর্ব খাসি হিলস জেলার এসপি বিবেক সিয়েম জানিয়েছেন, বিয়ের পরেও তাদের দু’জনের মধ্য ফোনে কথাবার্তা অব্যাহত ছিল। তিনি জানান, সঞ্জয় বর্মার ফোন বন্ধ থাকায় তাঁকে খুঁজে বের করতে ইন্দোরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে তদন্তে জানা যায়, সঞ্জয় বর্মা আসলে রাজ কুশওয়াহা।

পুলিশ কর্তা বলেন, ‘আমাদের দল ইন্দোরে রয়েছে এবং রাজার মৃত্যু থেকে অন্য আরও কেউ লাভবান হচ্ছে কিনা তা জানতে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ এদিকে, অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশীর ভাই গোবিন্দ দাবি করেছেন যে তিনি সঞ্জয় বর্মা নামে কাউকে চেনেন না। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সঞ্জয় বর্মা সম্পর্কে কিছুই জানি না। আজ আমি জানতে পারলাম, যে এর মধ্যে সঞ্জয়ের নামও উঠে আসছে।’
রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে আর্থিক দিক খতিয়ে দেখছে সিট। পুলিশ জানিয়েছে, ২৩ মে রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের পিছনে সন্দেহজনক ত্রিকোণ প্রেমের বাইরে কোনও আর্থিক উদ্দেশ্য ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) ইন্দোরে পৌঁছেছে। পূর্ব খাসি হিলসের এসপি ঋতুরাজ রবির মতে, হিটম্যানরা তিনবার ব্যর্থ চেষ্টার পরে রঘুবংশীকে চতুর্থবারে হত্যা করতে সফল হয়েছিল।