Meghalaya Honeymoon Murder Update। ‘রাজার উপরে কালাজাদু করত সোনম’

Spread the love

সোমবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে রাজার বাড়িতে ১৩ দিনের কাজ করা হয়। যে নিয়মকানুন আছে, তা পালন করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তারপর রাজার বাবা অশোক বলেন, ‘সোনমের জোরাজুরিতে আমাদের বাড়ির মূল দরজার উপরে বান্ডিলের মতো একটা জিনিস টাঙিয়ে দিয়েছিল। সোনম রাজাকে বলেছিল যে ওটা (দরজায়) টাঙালে নাকি পরিবারের উপরে কারও কুনজর পড়বে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজার হত্যার পরে আমার মনে হচ্ছে যে সোনম তন্ত্রমন্ত্রে (কালাজাদু) বিশ্বাস করে। ও আমার ছেলের উপরে (সেই কালোজাদু) প্রয়োগ করেছিল। (আমার ছেলের) হত্যার পরে আমাদের বাড়ি থেকে বান্ডিলের মতো ওই জিনিসটা খুলে ফেলা হয়েছে। আমার ছেলে যারা খুনে করেছে, তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত।’

রাজার মা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে এবং সোনম দু’জনেই মাঙ্গলিক। সোনমের পরিবারের জ্যোতিষী যে ‘শুভ মুহূর্ত’ বলেছিলেন, সেটা মেনেই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পালন করা হয়েছিল সমস্ত নিয়মকানুন। তাঁর কথায়, ‘বিয়ের পরে মাত্র চারদিন আমাদের বাড়িতে ছিল সোনম। রীতি মেনে তারপর বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছিল। আমরা হাসিমুখেই ওকে পাঠিয়েছিলাম।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমার যদি ওর সঙ্গে কোনওদিনও দেখা হয়, তাহলে আমি একটাই প্রশ্ন করব – কেন আমার ছেলেকে মারলি?’

তারইমধ্যে আজ খুনের ঘটনার পুনর্নিমাণ করতে সোনম এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের চেরাপুঞ্জিতে নিয়ে যাওয়া হয়। মেঘালয় পুলিশ এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাজাকে খুন করতে যে গুয়াহাটি থেকে যে দা ব্যবহার করা হয়েছিল, তা উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত দ্রুতগতিতে তদন্ত চলছে, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করা যায়। 

উল্লেখ্য, গত ১১ মে বিয়ে হয়েছিল ব্যবসায়ী রাজা এবং সোনমের। আর মেঘালয়ে হানিমুনের জন্য ২০ মে রওনা দিয়েছিল। ২৩ মে থেকে রাজা এবং সোনমের খোঁজ মিলছিল না। ২ জুন গভীর খাদ থেকে রাজার দেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাঁকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সোনম, ‘প্রেমিক’ রাজা কুশওয়াহা এবং রাজার তিন বন্ধুকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *