মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহর থেকে মধুচন্দ্রিমার জন্য মেঘালয় গিয়েছিলেন পরিবহণ ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী। সেখানে খুন হন তিনি। সেই রহস্যের পর্দা এবার উন্মোচন হচ্ছে। এই চাঞ্চল্যকর খুনের মূল চক্রী সোনম রঘুবংশী ও তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশী ও তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী মধুচন্দ্রিমার সময় শিলংয়ের কাছ থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। পরে রাজার দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের সন্দেহ, বিয়ের চার দিন পর থেকেই রাজাকে খুনের ছক কষেছিল সোনম। রাজা এবং সোনম ১১ মে বিয়ে করেছিলেন এবং ২০ শে মে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২ জুন যখন রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ একটি খাদে পাওয়া যায়, তখন সন্দেহ করা হয়েছিল যে এটি ডাকাতির ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি রক্তমাখা রেইনকোট পাওয়া গিয়েছিল। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিহতের সোনার আংটি ও চেইন উধাও হয়। পুলিশ যত গভীরে তদন্ত করতে থাকে, মামলাটি ততই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।
এই আবহে গত ৯ জুন উত্তরপ্রদেশের একটি ধাবা থেকে রাজা রঘুবংশীর স্ত্রী সোনমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা সহ আরও তিন সন্দেহভাজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সোনম প্রথমে গাজিপুর পুলিশকে জানিয়েছিল যে দুষ্কৃতীরা জলপ্রপাতের কাছে রাজার জিনিসপত্র ছিনতাই করে তাকে হত্যা করেছিল, তবে তিনি কোথায় গিয়েছিলেন বা কীভাবে পালিয়েছিলেন তা প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছিলেন।ধৃত চারজনের কথা উল্লেখ করে সোনম বলেছিলেন, ‘আমি আমার স্বামীকে খুন করিনি। গয়নার জন্য তারা তাকে হত্যা করেছে।’ নিজেকে ভিকটিম সাজানোর চেষ্টা করেছিল সোনম। দাবি করেছিল, তাকে মাদক দিয়ে গাজিপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও পরে তদন্তে সত্যিটা উঠে আসে। সোনমের মিখ্যা ধোপে টেকেনি।

এদিকে জানা গিয়েছে, রাজ কুশওয়াহা সোনমের বাড়ির কাছেই থাকত। সোনমের পারিবারিক ব্যবসায় হিসাবরক্ষক হিসাবে কাজ করত সে। এদিকে রাজার ভাই বিপুল বলে, রাজ কুশওয়াহা তাদের অধীনে কাজ করত। পুলিশের দাবি, রাজের সঙ্গে সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিল সোনমের পরিবার। শেষ পর্যন্ত রাজার সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করেন সোনমের পরিবার। বিয়ের ঠিক চার দিন পরেই বাপের বাড়ি ফিরে আসেন সোনম। সেই সময়ই রাজার খুনের ছক কষে থাকতে পারেন সোনম। এমনই দাবি পুলিশের।