সম্প্রতি জি৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে আগেভাগেই দেশে ফেরেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা নিয়ে টিপ্পনি করতে ছাড়েননি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ‘নিশ্চয় ট্রাম্প ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চূড়ান্ত করতে জলদি ফিরে গিয়েছেন।’
এরপরই ম্যাক্রোঁকে তোপ দেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রচারের খোঁজে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দাবি করেছেন যে আমি যুদ্ধবিরতির জন্য জি৭ সম্মেলন ছেড়ে ওয়াশিংটন ফিরে যাচ্ছি। তবে তিনি ভুল বলেছেন । ভুল! তাঁর কোনও ধারণা নেই আমি কেন ফিরছি। এটা যুদ্ধবিরতির চেয়েও বড় কিছু। ইমানুয়েল সবসময়ই ভুল বোঝে। চোখ রাখুন সামনে কী হয়।’
আর আজ যে ভিডিয়ো নিয়ে চর্চা তুঙ্গে, তাতে দেখা যায়, ম্যাক্রোঁকে মোদী আলিঙ্গন করছেন। তারপর তিনি বলছেন, ‘শুনলাম আজকাল নাকি আপনি টুইটারে ঝগড়া করতে ব্যস্ত।’ এরপরই অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন মোদী এবং ম্যাক্রোঁ। এই আবহে অনেকেই অনুমন করছেন, ট্রাম্পের করা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়েই মোদী এই মন্তব্য করে থাকতে পারেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আজ ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সময় নাকি তিনি মোদীকে কিছু সময়ের জন্য আমেরিকায় আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, ফোনালাপটি প্রায় ৩৫ মিনিট স্থায়ী হয় এবং দুই নেতা বিভিন্ন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।

এদিকে এই কথোপকথনের সময় ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপ নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয় মোদী এবং ট্রাম্পের মধ্যে। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষধবিরতিতে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা বা ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির কোনও ভূমিকা ছিল না।