প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলেছেন যে মে মাসে দুই পক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে আলোচনার সময় এবং আমেরিকার কোনও মধ্যস্থতা ছাড়াই ভারত ও পাকিস্তান সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কানাডায় জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতা নির্ধারিত বৈঠকের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছিলেন ট্রাম্প। সেই কারণে দুই নেতা বৈঠক হয়নি। তাই ট্রাম্পের অনুরোধে মোদী ফোন করে কথা বলেন তাঁর সঙ্গে।
সেই ফোনালাপের সময়ই মধ্যস্থতার বিষয়টি উঠে আসে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। ৩৫ মিনিটের কথোপকথনে মোদী ট্রাম্পকে বলেন, ‘ভারত কখনও মধ্যস্থতা মেনে নেয়নি, কখনও মেনে নেবেও না।’ মোদী ট্রাম্পকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ৭-১০ মে দু’দেশের মধ্যে চারদিনের সামরিক সংঘর্ষের পুরো পর্বে ‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি বা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতার মতো বিষয়গুলি কোনও সময়েই আলোচিত হয়নি।’
ট্রাম্পই প্রথম ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত বন্ধের কথা ঘোষণা করেছিলেন এবং একটি সরকারি বিবৃতিতে আমেরিকা দাবি করেছিল, এই ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করেছিল। তারপর থেকে, ট্রাম্প এক ডজনেরও বেশি বার দাবি করেছেন যে তিনি ভারত ও পাকিস্তানকে লড়াই বন্ধ করতে বাধ্য করেছেন এবং এই প্রচেষ্টায় তিনি উভয় দেশের সাথে বাণিজ্য বন্ধ করার হুমকি ব্যবহার করেছিলেন।

এই প্রথম এই ইস্যুতে মোদী ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বললেন। এবং বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি মোদীর সেই মন্তব্য জনসমক্ষে আনলেন। এতদিন ধরে মধ্যস্থতা নিয়ে ট্রাম্পের এই বারংবার ‘রেকর্ড’ বাজানোর ইস্যু নিয়ে এস জয়শঙ্কর থেকে শুরু করে ভারতের শীর্ষ স্থানীয় নেতা এবং আমলারা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন। তবে তাতেও ট্রাম্প থামছিলেন না। এই আবহে মোদীর সরাসরি এই কড়া বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।