মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে মেঘালয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ইন্দোরের দম্পতি রাজা রঘুবংশী ও তাঁর স্ত্রী সোনম। সেই ঘটনায় এবার নয়া মোড়। একটা সময় আশঙ্কা করা হচ্ছিল, হয়ত সোনমকে বাংলাদেশে পাচার করে দিয়ে থাকতে পারে দুষ্কৃতীরা। তবে সেই সোনমকে পাওয়া গেল উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে। সেখানে আপাতত তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।
টানা ১৬ দিনের সাসপেন্সের পর ইন্দোরের রাজা-সোনমের গল্প নতুন মোড় নিয়েছে। মেঘালয়ে নিহত রাজার স্ত্রীকে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে আটক করা হয়েছে। মেঘালয়ের ডিজিপি আই নোংরাংকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সোনম রঘুবংশী এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে তিন খুনিকে ভাড়া করে নিয়ে এসেছিল।মেঘালয়ের এক ট্যুরিস্ট গাইড পুলিশকে জানিয়েছিলেন, গত ২৩ মে সোহরা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার দিন তাঁদের সঙ্গে ছিলেন তিন ব্যক্তি। কয়েকদিন পরে রাজার মৃতদেহ একটি গভীর খাদে পাওয়া যায়, যদিও সোনমের সন্ধান তখনও পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে, পর্যটক সেজে তিন খুনি রাজা ও সোনমদের সঙ্গে বেরিয়েছিল সেদিন।
২৩ মে থেকে নিখোঁজ হয় ইন্দোরের এই দম্পতি। তারপর গত ২ জুন রাজের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল গভীর খাদ থেকে। ময়নাতদন্তের পর পুলিশ নিশ্চিত হয়, রাজকে খুন করা হয়েছিল ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে। এরপর আশঙ্কা করা হয়, সোনমও খাদে কোথাও পড়ে গিয়েছে কি না। এই আবহে সোনমের খোঁজে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে নামানো হয়েছিল। সেই সোনমকে এবার পাওয়া গেল গাজিপুরে।

জানা গিয়েছে, সোনম নিজে থেকেই নিজের বাড়িতে ফোন করেন। তারপরই তাঁর বাড়ির লোক ইন্দোর পুলিশকে জানায় বিষয়টি। সেই তথ্য পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গাজিপুরের পুলিশকে এই নিয়ে অবগত করা হয়। ইন্দোর পুলিশের একটি দল এখন গাজিপুরে যাচ্ছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি বুঝতে।