পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির চলতি সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক বৈঠক করেন হোয়াইট হাউজে। সেখানেই তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ইজরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘ইরানে নেতৃত্বে পতনের’ বিরুদ্ধে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রয়টার্সের মতে, ইরান নিয়ে মুনির উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্পের কাছে। তিনি নাকি ট্রাম্পকে বলেছেন, পাকিস্তান-ইরান সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জিহাদিরা ইরানে পালা বদলের ‘সুযোগ’ নিতে পারে। ট্রাম্পকে মুনির জানান, ইরানবিরোধী এবং পাকিস্তানবিরোধী সংগঠনগুলি উভয় পক্ষেই কাজ করে।
ইজরায়েলি কর্মকর্তারা বারবার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা ইরান সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন বা তাদের হামলার মাধ্যমে আয়াতোল্লাহ আলি খামেনিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছেন। এদিকে হোয়াইট হাউজে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের পর ট্রাম্প ইজরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, ‘তারা কোনও কিছুতেই খুশি নয়।’
এদিকে পাকিস্তান-ইরান সীমান্তের কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরানে অভ্যুত্থানের সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছে। বালোচরা পাকিস্তান এবং ইরান উভয় দেশের থেকেই স্বাধীনতা চায়। এদিকে পাকিস্তান থেকে পরিচালিত ইরানি সুন্নি মুসলিমদের জিহাদি গোষ্ঠী জইশ আল-আদল বলেছে, ইরানের সাথে ইজরায়েলের সংঘাত ‘একটি দুর্দান্ত সুযোগ’।জইশ আল-আদলের বক্তব্য, ‘জইশ আল-আদল ইরানের সব মানুষের প্রতি ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এবং সব মানুষকে, বিশেষ করে বালোচিস্তানের জনগণকে প্রতিরোধের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।’ এই আবহে পাকিস্তান আশঙ্কা করছে, তেহরানে পালাবদল হলে ইরানে থাকা সংখ্যালঘু বালোচ জঙ্গিরা পাকিস্তানে আক্রমণ বাড়ানোর চেষ্টা করবে।

এদিকে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলি খান বৃহস্পতিবার ইরান ইস্যুতে বলেন, ‘আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ ইরানে যা ঘটছে তা আমাদের জন্য খুবই গুরুতর ইস্যু। এর জেরে পুরো আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামোকে বিপদের সম্মুখীন। এটা আমাদেরও গভীরভাবে প্রভাবিত করবে।’