যেদিন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের ছেলে বা মেয়েকে কেউ মেরে ফেলবে, সেদিনই তাঁর যন্ত্রণা-কষ্ট বুঝতে পারবেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। এমনই মন্তব্য করলেন ভারতীয় নৌসেনার লেফটেন্যান্ট বিনয় নরওয়ালের বাবা বিজয় নরওয়াল। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ভারতীয় নৌসেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়।সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির সাক্ষাৎকারে নৌসেনা অফিসারের বাবা বলেন, ‘ও (আসিম মুনির) সেদিন আমার কষ্ট বুঝতে পারবে, যেদিন কেউ ওর ছেলে বা মেয়ের ক্ষতি করবে। ও যেদিন জানতে পারবে যে ওর ছেলে বা মেয়ে জঙ্গি হামলায় মারা গিয়েছে, সেদিনই (আমার) যন্ত্রণা বুঝতে পারবে। আমি একজন সাধারণ মানুষ।’
১৬ এপ্রিল বিয়ে হয়েছিল নৌসেনা অফিসারের বিয়ে হয়েছিল। বয়স ছিল মাত্র ২৬। বিয়ের পরে স্ত্রীয়ের সঙ্গে কাশ্মীরে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন নৌসেনা অফিসার। ছুটিতে থাকাকালীন তাঁকে হত্যা করা হয়। আর সেই ঘটনার মাসতিনেক পরে নৌসেনা অফিসারের বাবা বলেন, যদি গুলি করার জন্য আমার হাতে বন্দুক তুলে দেওয়া হয় এবং ছেলে বা মেয়েকে মেরে দিই, তখন (আমার) যন্ত্রণাটা বুঝতে পারবে ও (মুনির)।’

ওই সংবাদমাধ্যমে নৌসেনা অফিসারের বাবা বলেন, ‘পরিবারের সামনে আমি কাঁদতেও পারব না। আমার স্ত্রী, আমার বাবা-মা সবাই ভেঙে পড়েছে। ওরা যাতে মানসিক জোর পায়, সেজন্য আমায় ধীরস্থির থাকতে হচ্ছে। (কিন্তু) মনে একটুও শান্তি নেই। এতদিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু আমরা এখনও ঘুমোতে পারি না। এতদিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু আমরা এখনও ঘুমোতে পারি না।।’সেইসঙ্গে নৌসেনা অফিসারের বাবা বলেন, ‘কেউ দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি ঘুমোতে পারছে না। আমরা যখন মনোবিদের কাছে, তখন তিনি ওষুধ বলে দেন। কিন্তু এটার (পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ছেলের মৃত্যুর পরে) কোনও উপশম নেই। আমাদের অন্যান্য অসুখ হয়ে গিয়েছে। এরকমই আছি আমরা।’