নেপালের মদন-আশ্রিত মহাসড়কে ভূমিধসের জেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল দু’টি যাত্রীবাহী বাস। সেই দুই বাসে মোট ৬৩ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দু’টি বাসই ত্রিশূলি নদীতে ভেসে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ এ ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে চিতওয়ানের চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার ইন্দ্রদেব যাদব সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ভোরের দিকে বাসগুলি মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। তখন ভূমিধসের সময় বাসগুলি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে যায় নীচের উত্তাল নদীতে।
এদিকে, আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকায় কাঠমান্ডু থেকে ভরতপুরগামী সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে নেপালে বৃষ্টিজনিত ঘটনায় কমপক্ষে ৬২ জন নিহত এবং ৯০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে থেকে ভূমিধসে ৩৪ জন এবং টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কমপক্ষে ১২১টি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে এবং ৮২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সারাদেশে ১ হাজার ৫৮টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বাস দুটিতে চালকসহ মোট ৬৩ জন যাত্রী ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টের দিকে এই ভূমিধস হয়। নেপালের স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দুর্ঘটনার খবর পেয়েই। ত্রিশূলি নদীতে তল্লাশি অভিযান চলছে। তবে অবিরাম বৃষ্টির জেরে নিখোঁজ বাসগুলির সন্ধান পেতে নাজেহাল হতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে। এরই মধ্যে এই দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ‘প্রচণ্ড’। সব সরকারি সংস্থাকে যাত্রীদের তল্লাশি ও উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে তিনি লেখেন, ‘নারায়ণগড়-মুগলিন মহাসড়ক অংশে ভূমিধসে দুটি বাস ভেসে গিয়েছে। সেই দুর্ঘটনায় প্রায় পাঁচ ডজন যাত্রী নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছি। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অংশে বন্যা ও ভূমিধসে বহু সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি স্বরাষ্ট্র প্রশাসনসহ সরকারের সব এজেন্সিকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে তল্লাশি চালিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।