ইয়েমেনে ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ডের সাজা খারিজ হওয়া নিয়ে নানা দাবি করা হচ্ছে। তবে এই নিয়ে পরিস্থিতি এখনও স্পষ্ট নয়। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে ইয়েমেনের কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে। আবার কিছু রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই ধরনের দাবি ভুয়ো। এই মুহূর্তে ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।
সূত্র উদ্ধৃত করে একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, নিমিশার ফাঁসির রায় বাতিলের খবরটি ভুয়ো। সরকারের তরফেও এই নিয়ে কোনও সাড়া মেলেনি। এর আগে ভারতের গ্র্যান্ড মুফতি এপি আবুবকর মুসলাইয়ারের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ‘নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড আগে স্থগিত করা হয়েছিল, এখন তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। সানায় এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আগের স্থগিত সাজা পুরোপুরি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।’সানা ইয়েমেনের রাজধানী এবং নিমিশা এখানকারই কারাগারে তাঁর সাজা ভোগ করছেন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আবদো মাহদিকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন ওই ভারতীয় নার্স। মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর আশা করা হয়েছিল, ব্লাড মানি বা দিয়ার মাধ্যমে নিমিশার প্রাণ বাঁচানো যাবে। এর আওতায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, যার পরিমাণ উভয় পক্ষ মিলে সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তালালের পরিবার ব্লাড মানি নিতে রাজি হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর আগে জানা গিয়েছিল, ইয়েমেনি পরিবারটি অর্থ নিতে অস্বীকার করছে।

ব্লাড মানি রক্ষেত্রে নির্যাতিতার পরিবার দোষীদের ক্ষমা করবে কি করবে না, তা নির্ভর করে নির্যাতিতার পরিবারের ওপর। ইসলামী আইন অনুসারে, অপরাধের শিকারদের অপরাধীদের কীভাবে শাস্তি দেওয়া যায় সে সম্পর্কে তাদের মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। খুনের ঘটনায় তা ভিকটিমের পরিবারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। হত্যার ক্ষেত্রে, মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা যেতে পারে, তবে যদি নিহতের পরিবার চায় তবে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে দোষীকে ক্ষমা প্রদানও করতে পারে।