আপনার একটুখানি সাহায্য অসহায়, অভাগা,অভুক্ত বৃদ্ধাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিতে পারে।কি বুঝলেন না তাই তো?বীরভূমের(Birbhum) ময়ূরেশ্বরে কুন্ডলা গ্রামে সর্বমঙ্গলা আনন্দাশ্রম নামে এক বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করা হচ্ছে।ন পাড়া মহিলা কল্যাণ সমিতির(Noapara Mahila Kalyan Samity) পরিচালক বীরেন্দ্র চন্দ্র ব্যানার্জীর(Birendra Chandra Banerjee) পরিচালনায় এই বৃদ্ধাশ্রমটি তৈরি করা হচ্ছে। যার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন।সাধারণ মানুষের সহায়তা ছাড়া বৃদ্ধ মানুষগুলির জন্য এই মাথা গোঁজার জায়গাটুকু তৈরি করা সম্ভব হবে না।যেসমস্ত বৃদ্ধারা অসহায় অবস্থায় রয়েছে,ছেলে মেয়ে থাকা সত্ত্বেও শেষ বয়সে তারা নেই, একাকীত্বে ভুগছেন,জীবনের শেষ বয়সটা একটু আনন্দে কাটাতে চাইছেন শুধুমাত্র সেইসব বৃদ্ধারাই থাকতে পারবেন সর্বমঙ্গলা আনন্দাশ্রমে।যার জন্য কোনও রকম অর্থ নেবে না কর্তৃপক্ষ। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বৃদ্ধ মানুষগুলি নির্দ্ধিধায় থাকতে পারবেন। জানা যায়, বর্তমানে ৩০ জনের জন্য বৃদ্ধাশ্রমটি তৈরি হচ্ছে ।

পরবর্তীতে মানুষ বাড়লে আরো জায়গা বাড়ানো হবে।এই মহৎ উদ্যোগের জন্য রাজ্য সরকারের থেকে কোনও ধরনের সহায়তা পায়নি ন পাড়া মহিলা কল্যাণ সমিতি।পরিচালক বীরেন্দ্রবাবু জানান,সারা বীরভূম জেলা জুড়ে ১০,১৭০ জনের সার্ভে করে আমরা দেখেছি কুড়ি শতাংশ মানুষ একাকীয়তার মধ্যে দিন যাপন করছেন। সেই সমস্ত মানুষগুলির অন্ন বস্ত্র বাসস্থান এবং সঠিক গাইডেন্স দ্বারা জীবন অতিবাহিত করার জন্যই এই পদক্ষেপ। তাদের যৌথ উদ্যোগে কিছু পরিমাণ অর্থ দিয়ে বৃদ্ধাশ্রমটি তৈরি করা শুরু হয়েছে,কিন্তু সম্পূর্ণ বৃদ্ধাশ্রমটি তৈরি করার জন্য এখনও অনেক অর্থই বাকি।সেই অর্থ যদি সাধারণ মানুষ দিয়ে সাহায্য করে তাহলে অসহায় বৃদ্ধ মানুষগুলি থাকার জায়গা পান।
আমরা প্রত্যেকেই চাই বেঁচে থাকার মধ্যে যেন কিছু পূণ্য করে যাই,হয়ত এর থেকে ভালো সুযোগ আর আসবে না।সামান্য কিছু দান হয়ত আমাদের জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ হতে পারে। বৃদ্ধাশ্রম গড়তে সামান্য কিছু সাহায্য করতে হলে অবশ্যই 9800288702 নম্বরে যোগাযোগ করবেন।
বীরেন্দ্র চন্দ্র বাবু আরও জানান,যে সমস্ত মা-বাবারা একাকিত্বের মধ্যে জীবন যাপন করছেন তারাই এখানে থাকতে পারবে। টাকা পয়সা থাকাটা জরুরি নয় । তাদের জন্য প্রতিদিনের নির্দিষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলা রয়েছে যে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে তারা জীবন যাপন করবে ।
নপাড়া মহিলা কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে মহিলাদের জন্য নানা কাজ করা হয়ে থাকে। জরায়ু ক্যান্সার রোধ করার জন্য স্কুলে স্কুলে দু:স্থ ছাত্রীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা থেকে নানা ধরনের সচেতনতামূলক কাজ তারা করেছেন।

ইনিউজবাংলার তরফ থেকে অসহায় বৃদ্ধ মানুষগুলোর প্রতি রইল শ্রদ্ধা ও অফুরান ভালোবাসা।তাদের শেষ বয়সটা যেন শান্তি ও আনন্দে কাটে এই কামনাই করি।