Operation Mahadev। পহেলগাঁও হানার বহু দিন পর হঠাৎ এক ডিভাইস হয় সক্রিয়

Spread the love

পহেলগাঁও ঘটনার পর কেটেছে বেশ কয়েকমাস। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সন্ত্রাসকে দুরমুশ করতে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে। তবে তারপরও খোঁজ চলে পহেলগাঁওতে ২৬ জনকে হত্যাকারী জঙ্গিদের। এরপর কাশ্মীরে বহু সেনা,জঙ্গি গুলির লড়াই হয়। তবে ২৮ জুলাইয়ের এনকাউন্টারে ৩ জঙ্গির নিকেশের ঘটনা আলাদা করে কাড়ছে নজর। বেশ কিছু রিপর্টের দাবি, যৌথ বাহিনীর এই হানায় নিকেশ হয়েছে পহেলগাঁও জঙ্গি তথা হানার মাস্টারমাইন্ড হাশিম মুসা। কোথায় ছিল এই জঙ্গিরা? কীভাবে মিলল হদিশ?

জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছে দাচিগামের কাছেই রয়েছে এক পাহাড়ি জঙ্গল। সেই জঙ্গলে অভিযান চালায় পুলিশ, সিআরপিএফ ও সেনা। আর সেখানেই গোপন ডেরায় ছিল এই ৩ জঙ্গি। তাদের সেই গোপন ডেরা ছিল জঙ্গলের ভিতর। এক ত্রিপল টাঙানো জায়গা থেকে উদ্ধার হয় ৩ জঙ্গির দেহ। এই গভীর জঙ্গলের ভিতর কীভাবে জঙ্গিদের হদিশ পেয়েছে সেনা? এই প্রশ্নের উত্তরে একাধিক তথ্য উঠে আসছে। ‘নিউজ ১৮’র রিপোর্ট বলছে, এক চাইনিজ ডাভাইসের হাত ধরে এই ৩ জঙ্গি পর্যন্ত পৌঁছে যায় ভারতীয় ফোর্স। রিপোর্ট বলছে, এই চাইনিজ স্যাটেলাইট ফোন পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানার দিনের আশপাশে ব্যবহার করেছিল ওই হামলাকারী জঙ্গিরা। পহেলগাঁও হানা ২২ এপ্রিল হয়। সেই দিনের পর থেকে আর এই ডিভাইসের সক্রিয়তার হদিশ পাওয়া যায়নি। সদ্য দুই দিন আগে সেই ডিভাইস ফের সক্রিয় হয়। ডিভাইসটি থেকে ২ দিন আগে একটি ফোন হয় বলে খবর। তখনই ফোনের লোকেশন খোঁজা শুরু হয়। দেখা যায় দাচিগামের জঙ্গলের গভীরে মেলে লোকেশনেরর হদিশ। সেই জায়গায় সাধারণত কোনও বসতি নেই। সন্দেহ বেড়ে যায়। সন্দেহের আঁচ পেয়েই অভিযানের প্রস্তুতি শুর করে দেয় ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। দাচিগাম জঙ্গল এলাকা জুড়ে শুরু হয় পুলিশ, সেনা, সিআরপিএ-র অভিযান। ইন্ডিয়া টুডে-র রিপোর্ট বলছে, এই ৩ জঙ্গিকে এমনভাবে হামলা করা হয়, যেখানে পাল্টা হামলা করার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলে জঙ্গিরা।

ইতিমধ্যেই ৩ জন জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল হাশিম মুসা। রিপোর্টের দাবি, এই লস্কর জঙ্গি এককালে পাকিস্তান সেনার তাবড় ইউনিট স্পেস্যাল সার্ভিস গ্রুপের সদস্য ছিল। পরে সে লস্কর-এ যোগ দেয়। কাশ্মীর পুলিশ সুলেমান মুসার মাথায় ২০ লাখের পুরস্কার মূল্য রেখেছিল। ২০২৩ সালে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ সুলেমান মুসার। এরপর একাধিক নাশকতার ঘটনায় তার নাম উঠে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *