ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের মধ্যে ‘অপারেশন সিন্ধু’ চালু করেছে ভারত। এর আওতায় ভারতীয় দূতাবাসের আয়োজনে ইরানের তেহরান থেকে আর্মেনিয়ায় সীমান্ত অতিক্রম করে ১১০ জন শিক্ষার্থী নিরাপদ স্থানে পৌঁছে যান। এরপর সেখান থেকে তাঁদের বিমানে করে নিয়ে আসা হল ভারতে। এই পড়ুয়াদের অধিকাংশই জম্মু ও কাশ্মীরের।
মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতীয় দূতাবাসের ব্যবস্থায় তেহরানে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের শহর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা নিজেরাই নিজেদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে পারেন, পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাঁদেরও শহরের বাইরে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পৃথকভাবে, কিছু ভারতীয়কে আর্মেনিয়া সীমান্ত দিয়ে ইরান ছাড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ক্রমেই বদলে যাওয়া পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আরও নির্দেশিকা জারি করা হতে পারে।
জম্মু ও কাশ্মীর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, উর্মিয়া মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী (তাদের মধ্যে ৯০ জন কাশ্মীরি) নিরাপদে সীমান্ত পেরিয়ে আর্মেনিয়ায় প্রবেশ করেছেন। জম্মু ও কাশ্মীর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন উদ্ধারকাজ শুরু করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আশাবাদী যে বাকি সব শিক্ষার্থীকে শিগগিরই সরিয়ে নেওয়া হবে।’ ইরানে এমবিবিএস ছাত্র ২১ বছর বয়সি মাজ হায়দারের বাবা হায়দার আলি উদ্ধার প্রচেষ্টার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যিই খুশি। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমরা ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’ দিল্লিতে অবতরণ করা এমবিবিএস শিক্ষার্থী মীর খলিফ বলেন, ‘ইরানে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ এবং যারা এখনও সেখানে রয়েছেন তাদের উদ্ধারের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি। যখন যুদ্ধ চলছিল, আমরা ক্ষেপণাস্ত্র দেখতে পাচ্ছিলাম। আমাদের পাড়ায় বোমা ফেলা হয়েছিল। আমরা পরিস্থিতি নিয়ে খুব শঙ্কিত ছিলাম। আমি আশা করি আমরা আর কখনও সেই দিনগুলি দেখতে পাব না। তবে ইরানে এখনও অনেক শিক্ষার্থী আটকা পড়ে আছে। তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি শিগগিরই তাদেরও আকাশপথে ভারতে নিয়ে আসা হবে।’