সিঁদুরের জবাব দিলেন ভারতীয় সেনারা।পহেলগাঁওতে চোখের সামনে নিরীহ মানুষদের একের পর এক গুলি চালায় জঙ্গিরা।হিন্দু নাকি মুসলিম?অ্যাঙ্কেল,বলো হিন্দু হো অ্যা মুসলমান?হিন্দু বলায় সোজা কপালে গুলি,ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল ২৬ জন নিরীহ মানুষদের।তারই বদলা নিল ভারতীয় সেনা।কয়েক সেকেন্ডে সিঁদুর মুছে দেওয়া হয়েছিল মাথা থেকে, আজ তার পাল্টা আঘাত হানল ভারত।
চোখের সামনে স্বামী, বাবা, আত্মীয়কে মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়তে দেখেছিলেন অনেকে। নৃশংস সেই জঙ্গি হানা সেদিন কেড়েছিল বহু নববিবাহিতার ‘সিঁদুর’। ঠিক ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তানের পর পর জঙ্গি শিবিরে প্রত্যাঘাত হানল ‘অপারেশন সিঁদুর’(Operation Sindoor)। আর এই প্রত্যাঘাত নিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে সকলকে অবহিত করেন ভারতীয় সেনার দুই মহিলা অফিসার।‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ভারতীয় সেনার মহিলা অফিসার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি(Sofiya Qureshi), এবং ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং(Vyomika Singh)। কে তাঁরা? আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনে সেনা অফিসার সোফিয়া কুরেশি ও ব্যোমিকা সিংয়ের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক।ভারতীয় দুই মহিলার তত্ত্বাবধানে আজকের এয়ারস্ট্রাইক,যা প্রশংসা কুড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।সোশ্যাল মিডিয়া খুললে নিউজফিডে সোফিয়া ও ব্যোমিকার জয়জয়কার।
নাম কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ব্যোমিকা সিং। প্রথমজন ইতিহাস তৈরি করা সেনানায়িকা, ভারতীয় সেনার সিগন্যাল কর্পের আধিকারিক এবং দ্বিতীয়জন উইং কমান্ডার। ভারতীয় নারীশক্তির দ্বারা যোগ্য জবাব পেয়েছে পাকিস্তান।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ভারতীয় সেনার সিগন্যাল কর্পের আধিকারিক। তিনিই প্রথম মহিলা অফিসার যিনি বহুজাতিক সামরিক মহড়ায় ভারতীয় সেনার কন্টিনজেন্টকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।তার দাদুও ছিলেন সেনাবাহিনীতে। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে পুণেতে আয়োজিত হয়েছিল এই মহড়া. যা এখনও দেশের মাটিতে সবচেয়ে বড় মহড়া। সেখানেই ভারতীয় সেনার টিম ‘এক্সারসাইজ ফোর্স ১৮’-এর ৪০ সদস্যকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সামনে থেকে। মহড়ায় অংশ নেওয়া ১৮টি কন্টিজেন্টের মধ্যে একমাত্র সোফিয়া কুরেশিই মহিলা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মেকানাইজড ইনফ্যান্ট্রির অফিসারের সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সোফিয়া।

ব্যোমিকা সিং উইং কমান্ডার। পরিবারে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।
ভারতীয় বায়ুসেনার একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশনের অংশ হয়েছেন। উত্তর পূর্ব ভারতের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ২০০৪ সালে সেনায় অন্তর্ভুক্তি হয়েছিল তাঁর। তারপর থেকে দাগবিহীন কেরিয়ার। উড়িয়েছেন চেতক এবং চিতার মতো হেলিকপ্টার। ২০১৭ সালে উইং কমান্ডার পদে উন্নীত হয়েছেন। তাঁর কাজ বায়ুসেনায় মহিলা আধিকারিকদের জন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন।