শনিবার সন্ধ্যায় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্য যুদ্ধবিরতির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হওয়ার পরে সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং(Vyomika Singh) বলেন, ‘ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কারণে পাকিস্তানের বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। ওরা আমাদের (সামরিক) প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানোর চেষ্টা করে প্ররোচনা দিয়েছিল। স্থলভূমি এবং আকাশপথে পাকিস্তান বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে।’
পাকিস্তানের ক্ষতির খতিয়ান দিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার সিং আরও বলেন, ‘বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে স্কারদু, সারগোদা, জেকোবাবাদ, ভোলারির মতো পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বায়ুঘাঁটি। সেইসঙ্গে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং র্যাডারও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তার ফলে অচল হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানি আকাশসীমার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।’ সেইসঙ্গে ভারতীয় সেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানের কম্যান্ড ও কন্ট্রোল, লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান ও সামরিক কাঠামোর এতটাই ক্ষতি হয়েছে যে পাকিস্তানের আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’ আর ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার সিং যোগ করেন, ‘সেইসঙ্গে পাকিস্তানের মনোবলও পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’

সেই আবহে যুদ্ধবিরতি ভালো হলেও ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনী (ভারতীয় সেনা, ভারতীয় বায়ুসেনা ও ভারতীয় নৌসেনা) যে একেবারেই হালকা ভাবে কোনও কিছু নেবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন ভারতীয় নৌসেনার কমোরোডোর রঘুনাথ কে নায়ার। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান যদি উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করে, তাহলে পালটা জবাব মিলবে। এবারও যখন পাকিস্তান কোনও উলটো-পালটা কাজ করেছে, তখন পালটা জবাব দেওয়া হয়েছে। আগামিদিনেও সেটাই করা হবে।
তিনি কড়া ভাষায় বলেছেন, ‘আমাজের মাতভূমির সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর আমরা। পাকিস্তানের প্রতিটি বাড়াবাড়ি পদক্ষেপের পালটা কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে উত্তেজনা বাড়ালে কঠোর প্রত্যুত্তর মিলবে। দেশের রক্ষার জন্য যে অভিযান করতে হোক না কেন, সেটার জন্য আমরা সবসময় পুরোপুরি তৈরি থাকি।’