Operation Sindoor In NCERT। অপারেশন সিঁদুর এবার NCERT-এর সিলেবাসে

Spread the love

অপারেশন সিঁদুর এবার এনসিইআরটির পাঠক্রমে। ক্লাস থ্রি থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসেই এই বিশেষ মডিউলটি থাকবে বলে জানা গিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্রে। শনিবার ওই সূত্র মারফত খবর, এনসিইআরটি অপারেশন সিন্দুর নামে একটি বিশেষ অধ্যায় তৈরি করছে পাঠক্রমের অংশ হিসেবে। পাকিস্তান জুড়ে থাকা সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো আর ভারতের উপর হামলা নিয়ে দুটি বিশেষ মডিউল তৈরি হচ্ছে। সিলেবাসে অপারেশন সিঁদুর রাখার লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের ভারতের সামরিক শক্তি সম্পর্কে সচেতন করা। দুটি মডিউলই প্রস্তুত হচ্ছে এবং শীঘ্রই চালু করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে,‘অপারেশন সিন্দুরের উপর প্রথম মডিউলটি তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এবং দ্বিতীয়টি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে। ভারত এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর সাফল্য ৮ থেকে ১০ পৃষ্ঠার মডিউলে বর্ণনা করা হবে। এই মডিউলগুলির লক্ষ্য ভারতের সামরিক শক্তি এবং পাকিস্তানকে কীভাবে পরাজিত করা হয়েছিল সে সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা।’

এনসিইআরটি সমসাময়িক বিষয়গুলি থেকে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় বেছে নিয়ে বিশেষ মডিউল ডিজাইন করেছে। এগুলি পাঠ্যপুস্তকের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। এখন পর্যন্ত ‘বিকশিত ভারত’, ‘নারী শক্তি বন্দন’,’জি২০’ এবং ‘চন্দ্রায়ন উৎসব’ সহ বিভিন্ন বিষয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১৬টি বিশেষ মডিউল প্রকাশ করেছে।

মন্ত্রকের আরেকটি সূত্র মারফত খবর, ‘আগামী মাসগুলিতে, NCERT মিশন LiFE (‘LiFEStyle For Environment’) সম্পর্কে বিশেষ মডিউল প্রকাশ করবে। দেশভাগের ভয়াবহতা; মহাকাশ শক্তি হিসেবে ভারতের উত্থান – চন্দ্রযান থেকে আদিত্য L1 এবং শুভাংশু শুক্লার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাত্রা নিয়ে বিশদে থাকবে সেসব মডিউলে।’

ভারত ৭ মে ভোরে অপারেশন সিন্দুর শুরু করে এবং পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) -এ নয়টি সন্ত্রাসবাদী ও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়। সেখানে সন্ত্রাসবাদীদের২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করে। এর ফলে পাকিস্তানের সাথে চার দিনের সামরিক সংঘর্ষ শুরু হয়, যার ফলে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, দূরপাল্লার অস্ত্র এবং ভারী কামান ব্যবহার করা হয়। পরে ১০ মে উভয় পক্ষ সমস্ত সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছায়। জুন মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, অপারেশন সিন্দুর ছিল ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং ২০১৯ সালের বালাকোট বিমান হামলার জবাব।এবং এটি এমনভাবে পরিচালিত হয় যা ইসলামাবাদকে যুদ্ধবিরতি চাইতে বাধ্য করেছিল।

যা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় সংকল্পকে প্রকাশ করে। সদ্য প্রকাশিত NCERT-এর অষ্টম শ্রেণির সামাজিক বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের উল্লেখ রয়েছে। বইটিতে মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা শিবাজীর রাতে মুঘল সম্রাট শায়েস্তা খানের শিবিরে অভিযানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার ফলে তিনি বর্তমানে মহারাষ্ট্র ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন এবং এটিকে “আধুনিক যুগের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক”-এর সাথে তুলনা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *