Owaisi slams Pak Terrorists।  জঙ্গি নেতা লকভি পাক জেলে বন্দি! বাইরে মা হয়েছেন তাঁর স্ত্রী

Spread the love

শনিবার আলজেরিয়ায় প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ওয়াইসি পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করেন এবং প্রতিবেশী দেশের মুখোশ খুলে দেন। পাকিস্তানে সরকারি বন্দি থাকা অবস্থায় কীভাবে একজন সন্ত্রাসবাদী বাবা হয়ে গেল, সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। জঙ্গি জাকিউর রহমান লকভির প্রতি পাকিস্তানের বিশেষ আচরণের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। 

ওয়াইসি বলেন, ‘জাকিউর রহমান লকভি এক পাকিস্তানি জঙ্গি নেতা। লকভি পাকিস্তানের জেলে বন্দি, বাইরে মা হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। বিশ্বের কোনও দেশই সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত একজন সন্ত্রাসীকে কারাগার থেকে বের হতে দেবে না। কিন্তু জেলে বসেই এক পুত্র সন্তানের বাবা হয়ে যায় সে।’ তবে পাকিস্তানকে এফএটিএফের ধূসর তালিকায় রাখা হলে এই জঙ্গিদের বিচার তাড়াতাড়ি হবে বলে দাবি করেন ওয়াইসি। তিনি তুলে ধরেছিলেন যে কীভাবে আন্তর্জাতিক চাপের জেরে কিছু সময়ের জন্য পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছিল।

আসাদউদ্দিন ওয়াইসি আশা প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানকে যদি ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ধূসর তালিকায় ফিরিয়ে আনা হয়, তাহলে ভারতে জঙ্গি হামলার ঘটনা কমবে। ওয়াইসি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বিষয়টি এখন আর শুধু আঞ্চলিক উদ্বেগের বিষয় হিসেবে সীমিত নয়। এর প্রভাব বিশ্বের বহু জায়গায় পড়ছে। হায়দরাবাদের সাংসদ বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ শুধু দক্ষিণ এশিয়ার সমস্যা নয়। আমরা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। আপনি কি চান এই হত্যাযজ্ঞ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ুক? সন্ত্রাসবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রণ করা বিশ্ব শান্তির স্বার্থে। এটিকে এফএটিএফের ধূসর তালিকায় ফিরিয়ে আনতে হবে।’ 

ওয়াইসি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ দুটি বিষয়ের ওপর টিকে থাকে। মতাদর্শ ও অর্থ। আপনি মতাদর্শ খুব ভালো জানেন। আপনারা অন্ধকার দশক দেখেছেন। এমনকি দক্ষিণ আলজেরিয়াতে এখনও কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা একসঙ্গে আছি।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানকে এফএটিএফের ধূসর তালিকায় ফিরিয়ে আনা হলে ভারতে সন্ত্রাসবাদ কমবে। আমরা দেখব খুনের ঘটনা কমেছে। আমারা ২০১৮ সাল থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তখন আলজেরিয়া এবং অন্যান্য দেশগুলি ভারতকে সহায়তা করেছিল এই ইস্যুতে।’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *