পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির আগামী ১২ জুন এক সরকারি সফরে ওয়াশিংটন ডিসিতে যাচ্ছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী স্মরণে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ১৪ জুন এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। তবে নিজ দেশে মুনিরের সফরের বিরোধিতা করা হয়েছে।
এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই সফরকালে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক বৈঠক করতে পারেন মুনির। সেই বৈঠকে নাকি ভারতের বিরুদ্ধে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে আমেরিকা। বিশেষ করে জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার মতো গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে আরও শক্ত হতে মুনিরকে বলতে পারে মার্কিন কর্তারা। এছাড়া পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের আওতায় চলমান চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) পরিকল্পনা পাকিস্তানকে কেবল অর্থনৈতিকভাবে চিনের ওপর নির্ভরশীল করে তুলছে না, এটি চিনকে আরব সাগরে সরাসরি ও কৌশলগত প্রবেশাধিকারও দিচ্ছে।
এদিকে ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের এই মার্কিন সফরকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে বিক্ষোভ চলছে। ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি এই সফরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ইমরান খানের অনুগামীরা মুনিরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনেরও পরিকল্পনা করেছে। এই সফরের বিরুদ্ধে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানও (টিটিপি) ক্রমাগত হুমকি দিয়ে আসছে।

এদিকে এই সফরকালে কাশ্মীর ইস্যুতে আমেরিকার সমর্থন চাইতে পারে পাকিস্তান। তবে ভারত বরাবরই এই ইস্যুকে দ্বিপাক্ষিক বলে বর্ণনা করে এসেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রও মুখে একই নীতিকে সমর্থন করে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এমনকী সম্প্রতি ভারত-পাক সংঘাতে সংঘর্ষবিরতির কৃতিত্ব নিতে মরিয়া উঠেছেন ট্রাম্প।