চিনে গিয়ে একগুচ্ছ বৈঠক সারলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। সরকারি মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হ্যান ঝেং, বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্তা জেনারেল ঝ্যাং ইউশিয়ার সঙ্গে আলাদা-আলাদা করে বৈঠক করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে যোগসূত্র আরও মজবুত করার বিষয়ে কথা হয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে, সেজন্য পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেছে বেজিং। দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা শক্তির উপরে যে পূর্ণ আস্থা আছে চিনের, তা আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর যে বেজিং প্রশংসা করবে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ ভারত অপারেশন সিঁদুর চালানোর পরে পাকিস্তান যে আক্রমণের চেষ্টা করেছিল, তাতে বিভিন্ন চিনা অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। সেগুলি যে মুখ থুবড়ে পড়েছে, তার প্রমাণ আগেই দিয়েছে নয়াদিল্লি। ফলে নিজেদের ‘পচামাল’-কে ভালো করে দেখানোর জন্য পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করতেই হবে চিনকে।

আইএসপিআরের তরফে জানানো হয়েছে, হ্যান এবং ওয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকে আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক বিষয়, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের অধীনে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং ভূ-রাজনৈতক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের মতো বিষয়ের উপরে বাড়তি জোর দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান।
তারইমধ্যে চিনা ‘বন্ধুদের’ সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজের জন্য পাকিস্তানে থাকা চিনাদের উপরে একের পর এক ভয়ংকর হামলা চালিয়েছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি-সহ (বিএলএ) বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। সেই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে আছে বেজিং।