শনিবার নিয়ন্ত্রণরেখার ফরোয়ার্ড পোস্টে দেখা যায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে। মুনির সেখানে অবস্থানরত সৈন্যদের সাথে দেখা করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ইদুল আজহা উপলক্ষে তিনি সেনাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন এবং তাদের মনোবল বাড়াতে সেখানে গিয়েছিলেন।
তবে বকরি ইদের মতো পবিত্র অনুষ্ঠানেও মুনির ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে পিছপা হলেন না। মুনির বলেন, ‘সাম্প্রতিক সংঘর্ষে পাকিস্তান ভারতকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে এবং শহিদের সেনাদের প্রতিশোধ নিয়েছে।’ তাঁর দাবি, ভারতের হামলার জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তান নিজেদের সক্ষমতা দেখিয়েছে।
এরপর মুনির কাশ্মীর নিয়ে তাঁর পুরনো সুরের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, পাকিস্তান কাশ্মীরিদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তিনি এটিকে পাকিস্তানের ‘মূল নীতি’ হিসাবে অভিহিত করেছেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাশ্মীর ইস্যুটি নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা হামলা চালায় ভারত। জবাবে পাকিস্তানও সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভারতের পাল্টা আক্রমণে দম বন্ধ হয়ে আসে মুনিরের বাহিনীর। এমনকি ভারতের আক্রমণ থেকেও নিজের বিমানঘাঁটি রক্ষা করতে পারেননি তিনি।

চার দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে সীমিত আকারে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। অবশেষে গত ১০ মে দুই দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনের (ডিজিএমও) মধ্যে আলোচনার পর সামরিক পদক্ষেপ বন্ধে সম্মত হয়। ভারত বারবার নিশ্চিত করেছে যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল এবং থাকবে। ভারত সরকারের স্পষ্ট অবস্থান হল, এসব ভূখণ্ডের ওপর বহিরাগত যেকোনও দাবি অগ্রহণযোগ্য এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর পাকিস্তানের থেকে ফেরত চাইছে ভারত।