পাকিস্তানি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করেছেন যে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটিটি কার্যকরভাবে আমেরিকান নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। তাঁর এহেন চমকপ্রদ স্বীকারোক্তিতে হইচই পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইমতিয়াজ গুলের সেই বক্তব্যের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, নূর খান বেসে পাকি্তানি সেনা আধিকারিকদেরও কোনও কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই।
ইমতিয়াজ গুল দাবি করেন, নূর খান বেসে প্রতিনিয়ত মার্কিন সামরিক বিমান ওঠানামা করে। এদিকে মার্কিন বিমানে করে নূর খান বেসে কী সামগ্রী নিয়ে আসা হয়, তা নিয়ে কারও কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই বলেও দাবি করেন ইমতিয়াজ। এই আবহে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন পাকিস্তানি সাংবাদিক। তাঁর দাবি, পাকিস্তান এবং আমেরিকার এই নিয়ে গোপন কোনও চুক্তি থাকতে পারে। এই আবহে সেনাবাহিনীর দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে সোভিয়েত হামলার সময় থেকেই পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে এসেছে আমেরিকার সামরিক বাহিনী। পাকিস্তানের মাটি থেকে বিভিন্ন সময় নানান গোপন অভিযানও চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। যদিও এই সব নিয়ে কোনও স্বচ্ছতা নেই। এই আবহে ইমতিয়াজ গুলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফের একবার পাকিস্তান এবং আমেরিকার গোপন আঁতাতের সম্ভবানা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাওয়ালপিন্ডির চাকালায় অবস্থিত এই নূর খান বেসে ভারত হামলা করেছিল ৯-১০ মে-র রাতে। পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান্স ডিভিশনের খুবই কাছে অবস্থিত এই বিমাঘাঁটি। ভারতের হামলায় নূর খান বেসের হ্যাঙারগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছডা়া রানওয়েতে বিশাল গর্ত হয়ে গেছে। পাকিস্তানের ভিআইপি পরিবহণ ফ্লিটের ‘১২টা বাজিয়েছে’ ভারত। পাকিস্তানের বায়ুসেনার পরিকাঠামোর ২০ শতাংশ নষ্ট করে দেয় ভারত।
এদিকে পাকিস্তানের এই সব ঘাঁটিতে হামলার মাধ্যমে ভারত দেখিয়ে দেয় পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কতটা অকার্যকর। এদিকে নূর খান ছাড়াও সারগোধা, রফিকি, জ্যাকোবাবাদ সহ ১১টি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এসব হামলায় দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সংঘাতকালে চারটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এবং চিনের তৈরি দুটি বড় সামরিক বিমানও (সি-১৩০জে ও এসএএবি ২০০০) ধ্বংস করেছিল ভারত।