টানা দ্বিতীয়বার ভারতের হয়ে অলিম্পিক্সে পদক জিতেছেন নীরজ চোপড়া(Neeraj Chopra)। দেশের নাম গর্বিত করেছেন। ভারতের প্রথম ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিট হিসেবে পরপর দুটি অলিম্পিক্সে পদক জয়ের নজির গড়েছেন। ফাইনালে জ্যাভলিন ছুঁড়ে ছিলেন ৮৯.৪৫ মিটার দূরত্বে। তাঁর সাফল্যের পর উচ্ছাসের জোয়ারে ভাসছে দেশবাসী। এরই মধ্যে হরিয়ানা থেকে উঠে আসা দেশের গর্ব নীরজকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নীরজ বললেও চেষ্টা করেছিলেন সোনা জিততে, কিন্তু হয়নি। তবে রৌপ্য পদক পেয়ে দেশকে গর্বিত করতে পারায় তিনি খুশি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোনে নীরজকে বলেন, ‘ অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা তোমায়, দেশের নাম আবার উজ্জ্বল করেছ। আমি রাত ১টার সময় দেখছিলাম দেশের কয়েক কোটি লোক তোমার দিকে তাকিয়ে ছিল। ’। এরপর নীরজ বলেন,’ আমি চেয়েছিলাম সোনা জিতে ফিরতে, কিন্তু আপনাকে যেটা বলেছিলাম, ওই চোটটাই ভোগাল। সেরাটা দিয়েছি, কিন্তু হয়নি। প্রতিযোগিতা বেশ কঠিন ছিল, এই পরিস্থিতিতে থেকে দেশের জন্য পদক জিতে আনতে পেরে খুশি ‘।
তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন খারাপ করার কিছু নেই, কারণ গতবারও অত কঠিন পরিস্থিতি থেকে দেশকে প্রথমবার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে পদক এনে দিয়েছিল নীরজ। তবে চোট কীভাবে সাড়ানো যায়,তা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। পাল্টা নীরজ চোপড়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেন,চোট নিয়ে তিনি তাঁর মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে কথা বলবেন। আগামী দিনে আরও প্রতিযোগিতা আসছে সেগুলোতেও নিজের সেরাটা দিতে চাইবেন,এবং পদক জিততে চাইবেন ।
এরপর প্রধানমন্ত্রী খবর নেন তাঁর মায়ের। জানতে চান, ‘মাও কি খেলার সঙ্গে জড়িত ছিল, খেলার যে স্পিরিট থাকে সেটা উনি খুব ভালো ভাবে দেখিয়েছে। আর্শাদকে নিয়ে তোমার মা বলেছে, ও তো আমার ছেলেরই মতো। তাই উনিও খুব ভালো খেলার স্পিরিট দেখিয়েছে। ওনাকেও অনেক শুভেচ্ছা। ’
এরপর নীরজ বলেন, ‘মা কখনই খেলাধুলা সেভাবে করতেন না, তবে হরিয়ানায় খেলার একটা পরিবেশ রয়েছে, তাই হয়ত ছোটবেলায় খেলে থাকতে পারে। এটা এমন একটি প্রতিযোগিতা যেখানে সেই দিনটা যার হয়, সেই জেতে’।
পাল্টা প্রধানমন্ত্রী নীরজকে বলেন, ‘ শুধু দিন নয়, এই সাফল্যের পিছনে তোমার কঠোর পরিশ্রম রয়েছে, ওটা ছাড়া কিছুই হয়না। এখন মন থেকে সোনার কথা ভুলে যাও। এই সাফল্য কম নয়। দুবার অলিম্পিক্স পদক জয় কিন্তু মুখের কথা নয়, খুব কম লোকই আছে যারা এরকম পদক জিতেছে। পরের বার যখন দেখা হবে তোমার সঙ্গে তখন তোমার চোট নিয়ে আলোচনা করবে, যে কীভাবে ঠিক করা যায়। আমরাই বা আর কি কি করতে পারি তোমার জন্য। তোমায় অনেক অনেক শুভেচ্ছা নীরজ। ’