মেগা নিলামের সময় তাঁকে নিয়ে ঝড় উঠেছিল। শেষপর্যন্ত ২৬.৭৫ কোটি টাকায় দলে নেয় পঞ্জাব কিংস। আর সেই দলকেই ১১ বছর পরে আইপিএলের ফাইনালে তুলে শ্রেয়স আইয়ার দাবি করলেন, নিলামের সময় মোটেও ভাবছিলেন না যে তাঁকে কোন দল নেবে বা কোন দলের হয়ে খেলবেন। তিনি শুধু এমন একটা দলে যেতে চাইছিলেন, যে দলে ভালো এবং ইতিবাচক পরিবেশ থাকবে। যে পরিবেশটা পঞ্জাবে পেয়েছেন বলে দাবি করেন শ্রেয়স। আর তাঁর সেই মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠেছে যে ঘুরিয়ে কি প্রাক্তন ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (কেকেআর) ঠুকলেন ভারতীয় তারকা?
‘একটা ভালো পরিবেশে থাকতে চাইছিলাম’, সাফ কথা শ্রেয়সের
সেটা অবশ্য স্পষ্ট করেননি শ্রেয়স। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে মাত্র ৪১ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস খেলে পঞ্জাবকে ফাইনালে তোলার পরে ধারাভাষ্যকার তাঁকে প্রশ্ন করেন যে মেগা নিলামের সময় কী ভাবছিলেন। সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে পঞ্জাবের অধিনায়ক শুধু বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি কোন দলে যাব, সেই বিষয়ে আমি ভাবছিলাম না।
সেইসঙ্গে শ্রেয়স বলেন, ‘আমি একটা ভালো পরিবেশে থাকতে চাইছিলাম। আমি কোথায় যাচ্ছি, তার বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল যে মানসিকভাবে আমি কেমন আছি। আমার মনে হয়, ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমি অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। আমার আশপাশের যাঁরা আছেন, তাঁরা সকলেই আমায় খুব স্বস্তিতে রাখছেন। পরিবেশ সবসময় ইতিবাচক থাকছে।’
পন্টিংয়ের সঙ্গে শ্রেয়সের রসায়ন ভালো
এমনিতে পঞ্জাবের পরিবেশ খুব একটা অচেনা হওয়ার কথাও ছিল শ্রেয়সের। কারণ পঞ্জাবের হেড কোচ রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে আগেও কাজ করেছেন। ফলে তাঁদের মধ্যে আলাদা একটা রসায়ন আছে। কিন্তু শ্রেয়সের মধ্যেও আলাদা একটা জাদু আছে। যে জাদুবলে দিল্লি ক্যাপিটালসকে প্রথমবার আইপিএল ফাইনালে তুলেছিলেন। কেকেআরকে আইপিএল এনে দিয়েছিলেন ১০ বছর পরে। আর প্রথমবার পঞ্জাবকে আইপিএল জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।

অধিনায়ক তো বটেই, ব্যাটিংয়েও ভালো ছন্দে শ্রেয়স
এবারের আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে যেমন শ্রেয়সকে তুখোড় ছন্দে দেখা যাচ্ছে, তেমনই ব্যাট হাতেও দলকে ভরসা দিচ্ছেন। সবমিলিয়ে একটা কমপ্লিট প্যাকেজ হয়ে উঠেছেন। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে যেমন ২০৪ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে পঞ্জাবকে ফাইনালে তুলেছেন।
আর শ্রেয়সের সেই অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংসটার গুরুত্ব কতটা, সেটা বোঝা যাবে একটি পরিসংখ্যানেই। তথ্য অনুযায়ী, রবিবারের আগে পর্যন্ত আইপিএলে প্রথমে ব্যাট করে ২০০ রানের বেশি লক্ষ্যমাত্রা দেওয়ার পরে ১৯ বারের মধ্যে ১৯ বারই জিতেছে। প্রথমবার হারল শ্রেয়সদের কাছেই। তারইমধ্যে জসপ্রীত বুমরাহের নিখুঁত ইয়র্কারে যে চারটা মেরেছেন,সেটা তো চোখে লেগে থাকবে অনেকদিন।