PM Modi Austria Visit। অস্ট্রিয়ায় গিয়ে নোবেলজয়ীর সঙ্গে দেখা মোদীর

Spread the love

রাশিয়ার পর অস্ট্রিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। এই প্রথমবারের মতো অস্ট্রিয়ায় যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন, মানুষের সঙ্গে দেখা করেছেন। ইতিমধ্যে অস্ট্রিয়ান পদার্থবিজ্ঞানী এবং নোবেল বিজয়ী অ্যান্টন জেইলিংগারের সঙ্গেও দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের জাতীয় কোয়ান্টাম মিশন নিয়ে, আজকের বিশ্বে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কোয়ান্টাম টেকের তাৎপর্য নিয়েও আলোচনা করেছেন তাঁর সঙ্গে।

কে এই অ্যান্টন জেইলিঙ্গার?

অ্যান্টন জেইলিঙ্গার হলেন একজন অস্ট্রিয়ান কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানী। ২০ মে ১৯৪৫ সালে অস্ট্রিয়ার রিড ইম ইনক্রেইসে জন্মগ্রহণ করেন, ২০২২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। পুরস্কারের সময়, তিনি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি, ভিয়েনা এবং ইনস্টিটিউট ফর কোয়ান্টাম অপটিক্স অ্যান্ড কোয়ান্টাম ইনফরমেশন, অস্ট্রিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেস, ভিয়েনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নোবেল পুরষ্কার ওয়েবসাইট অনুসারে, জেইলিঙ্গার এনট্যাঙ্গল ফোটনের পরীক্ষার জন্য, বেল অসমতার লঙ্ঘন এবং অগ্রণী কোয়ান্টাম তথ্য সম্পর্কিত বিজ্ঞানের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি সহযোগী পদার্থবিদ অ্যালেইন অ্যাসপেক্ট এবং জন ক্লজারের সঙ্গেও পুরস্কারটি ভাগ করে নিয়েছিলেন। বর্তমানে জেইলিঙ্গার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং অস্ট্রিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেসের কোয়ান্টাম অপটিক্স এবং কোয়ান্টাম তথ্য ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বিজ্ঞানী হিসাবে গবেষণা করছেন।

অস্ট্রিয়ান ইন্ডোলজিস্ট এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

প্রথম অস্ট্রিয়া সফরে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চারজন বিশিষ্ট অস্ট্রিয়ান ইন্ডোলজিস্ট এবং ভারতীয় ইতিহাস ও চিন্তাধারার অন্যান্য পণ্ডিতদের সঙ্গেও দেখা করেছেন। তিনি বৌদ্ধ দর্শন ও ভাষাবিদ ডক্টর বির্গিট কেলনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এদিন। এছাড়াও আধুনিক দক্ষিণ এশিয়ার পণ্ডিত অধ্যাপক ড. মার্টিন গনজলে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক ডঃ বোরিন লারিওস এবং ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডোলজি বিভাগের প্রধান ডঃ করিন প্রিসেনডাঞ্জের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর।

অ্যান্টন কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন

১৯৯৭-১৯৯৮ সালে জেইলিংগার আলোক কণা অর্থাৎ ফোটন নিয়ে কাজ করেছিলেন। এনট্যাঙ্গলমেন্ট হল কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য যা দুটি বা ততোধিক কণাকে সংযুক্ত অবস্থায় থাকতে দেয়, যেখানে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব নির্বিশেষে, একটি কণার আচরণ সরাসরি অন্যটিকে প্রভাবিত করে। এই পরীক্ষাগুলি, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের নির্ভুলতা নিশ্চিত করেছে এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটার, কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক এবং কোয়ান্টাম এনক্রিপ্টেড যোগাযোগের বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করেছে। আর এই সব কিছুরই মূলে রয়েছেন অ্যান্টন জেইলিঙ্গার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *