রাজ কুশওয়াহার পরিবার দাবি করেছে যে সে নির্দোষ এবং অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় সে বাড়িতেই ছিল। এই নিয়ে রাজের বোন এই নিয়ে বলেন, ‘আমার ভাই কোথাও যায়নি। আপনি তার অফিসের লোকদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তিনি তার অফিসে যেতেন… আমার একটাই দাবি, আমার ভাইয়ের মুক্তি হোক। সে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।’
এদিকে রাজ কুশওয়াহার মা সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে এমন কিছু করতে পারে না। তার বয়স মাত্র ২০ বছর… আমার ছেলে সোনমের ভাইয়ের কারখানায় কাজ করত।’ এদিকে রাজের পরিবার যাই বলুক, রাজা রঘুবংশীর ভাই আগেই অভিযোগ করেছিলেন, সোনম নিয়মিত রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে ফোনে কথা বলত। জানা গিয়েছে, রাজার সঙ্গে বিয়ের আগেই রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোনমের।
এরই মাঝে ঘটনার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ইন্দোরের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘রাজ কুশওয়াহা দাবি করেছে যে সে নাকি সোনমকে সমর্থন করতে চায়নি এবং শেষ মুহুর্তে মেঘালয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে। সে বাকি তিনজনকেও যেতে নিষেধ করেছিল। তবে সোনম টিকিট কাটার পর তারা মেঘালয়ে চলে যায়। এমনকি শেষ মুহূর্তে তিনজন খুন করতে অস্বীকার করলেও সোনম জেদ ধরে এবং তাদের ১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলে জানায়। পুলিশ এই দাবিগুলি যাচাই করছে।’

গত ২৩ মে নিখোঁজ হয়েছিল সোনম এবং রাজা। পরে ২ জুন রাজার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল মেঘালয়ের এক খাদ থেকে। এরপর ৯ জুন পুলিশের হাতে ধরা দেয় সোনম। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথমে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল ধৃত সোনম। নিজেকে ভিকটিম হিসাবে পুলিশের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছিল সোনম। সে দাবি করেছিল যে তাকে মাদক দিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল।
পুলিশ তার কাছে পৌঁছে যাবে জেনে সোমন ৯ জুন তার পরিবারকে সোনম জানায় যে সে গাজিপুরে আছে। গাজিপুর-বারাণসী রোডের একটি ধাবায় ছিল সোনম। এরপর সোনমের পরিবার তৎক্ষণাৎ মধ্যপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয়। তারপর সোনমকে গ্রেফতার করা হয়। উত্তরপ্রদেশ থেকে সোনমকে কলকাতা হয়ে শিলংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।