RCB ও পঞ্জাবকে সঙ্গে নিয়ে প্লে-অফে গুজরাট

Spread the love

রবিবার আইপিএল ২০২৫-এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে দাপটের সঙ্গে পরাজিত করে গুজরাট টাইটানস। সেই সুবাদে আইপিএলের প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করেন শুভমন গিলরা। গুজরাটের জয়ে প্লে-অফের টিকিট হাতে পেয়ে যায় পঞ্জাব কিংস এবং আরসিবিও। হারলেও দিল্লি ক্যাপিটালস টিকে থাকে প্লে-অফের দৌড়ে।

অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে দিল্লি ক্যাপিটালস। তারা দলগত ১৬ রানের মাথায় ওপেনার ফ্যাফ ডু’প্লেসির উইকেট হারিয়ে বসে। তবে অভিষেক পোড়েলকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিকে বড় রানের ভিতে বসিয়ে দেন লোকেশ রাহুল। লোকেশের দাপুটে শতরানের সুবাদে শেষমেশ দু’শো রানের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় ক্যাপিটালস।

লড়াকু শতরান লোকেশ রাহুলের

ডু’প্লেসি ১০ বলে ৫ রান করে আউট হন। লোকেশ রাহুল ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ৬০ বলে। সাহায্য নেন ১২টি চার ও ৪টি ছক্কার। শেষমেশ ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬৫ বলে ১১২ রান করে অপরাজিত থাকেন লোকেশ। এটি তাঁর আইপিএল কেরিয়ারের পঞ্চম শতরান।

তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অভিষেক পোড়েল ১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৯ বলে ৩০ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে আউট হন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্যাপ্টেন অক্ষর প্যাটেল ১৬ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০ বলে ২১ রান করে নট-আউট থাকেন ত্রিস্তান স্টাবস। দিল্লি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে। অর্থাৎ, জয়ের জন্য গুজরাটের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২০০ রানের।

গুজরাট টাইটানসের হয়ে ২ ওভারে ৭ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন আরশাদ খান। ৪ ওভারে ৪০ রান খরচ করে ১টি উইকেট দখল করেন প্রসিধ কৃষ্ণা। ৪ ওভারে ৪৭ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন সাই কিশোর। উইকেট পাননি মহম্মদ সিরাজ, কাগিসো রাবাদা ও রশিদ খান।

গুজরাটের সঙ্গে প্লে-অফের টিকিট আরসিবি ও পঞ্জাবের

পালটা ব্যাট করতে নেমে গুজরাট টাইটানস অনায়াসে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। সেই সুবাদে প্রথম দল হিসেবে আইপিএলের প্লে-অফে জায়গা করে নেয় টাইটানস। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রবিবার গুজরাট একাই প্লে-অফের পৌঁছয়, এমনটা নয়। বরং পঞ্জাব কিংস ও আরসিবিকেও প্লে-অফে টেনে নিয়ে যায় গুজরাট। অর্থাৎ, টাইটানসের জয়ে রবিবারই তিনটি দলের প্লে-অফে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়। চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস।

গুজরাট ১৯ ওভারে বিনা উইকেটে ২০৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, এক ওভার বাকি থাকতেই ১০ উইকেটে ম্যাচ জেতে গুজরাট। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গুজরাট টাইটানস আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম দলে পরিণত হয়, যারা ২০০ রানের টার্গেটে পৌঁছে যায় কোনও উইকেট না হারিয়ে।

দাপুটে শতরান সাই সুদর্শনের

সাই সুদর্শন ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ৫৬ বলে। সাহায্য নেন ১২টি চার ও ৩টি ছক্কার। শেষমেশ ১২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬১ বলে ১০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন সুদর্শন। শুভমন গিল ১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি ৩টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ বলে ৯৩ রান করে নট-আউট থাকেন।

দিল্লির হয়ে উইকেট পাননি কোনও বোলার। মুস্তাফিজুর রহমান উইকেট না পেলেও ৩ ওভারে মাত্র ২৪ রান খরচ করেন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন সাই সুদর্শন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *