RG Karএ যাবজ্জীবন সাজা দিয়ে বলেছিলেন মানবতার বাণী

Spread the love

আরজি করের ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় মানবতার ললিতবাণী শুনিয়ে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া বিচারক অনির্বাণ দাসই শোনালেন ফাঁসির সাজা। ঘটনাচক্রে এবারও অভিযুক্তের নাম সঞ্জয়। চিৎপুরে এক শিক্ষক দম্পতির হত্যার ঘটনায় সঞ্জয় সেন নামে ওই খুনিকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে উল্লেখ করে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন তিনি। তবে আরজি করের ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে মানেননি তিনি।

২০১৫ সালের ১৫ জুলাই চিৎপুরে রানি দেবেন্দ্রবালা রোজে নিজেদের ফ্ল্যাটে খুন হয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক দম্পতি প্রাণগোবিন্দ দাস ও রেণুকা দাস। রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছিল ২ জনকে। দুটি আলাদা ঘরে পাওয়া গিয়েছিল তাঁদের দেহ। সেই ঘটনায় কয়েকদিন পরে ওই ফ্ল্যাটের পরিচারক সঞ্জয় সেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে সঞ্জয় দাস দম্পতির অত্যন্ত বিশ্বাসভাজন ছিলেন। খুনের পর আলমারি খুলে টাকা পয়সা ও গয়না নিয়ে চম্পট দেয় সে। আবাসন থেকে তাকে দ্রুতপায়ে বেরোতে দেখেছিলেন স্থানীয়রা।

এই ঘটনায় যথাসময় চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। গোটা বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন জেলবন্দি ছিলেন সঞ্জয়। মঙ্গলবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক অনির্বাণ দাস। বুধবার সাজা ঘোষণা হবে বলে জানান তিনি।

এদিন সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা চেয়ে আদালতে সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী। তিনি বলেন, সঞ্জয় এক বৃদ্ধ দম্পতির বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এই ঘটনায় চরম শাস্তি না হলে মানুষ কাউকে বিশ্বাস করতেই ভয় পাবে। এর পর সঞ্জয়ের আইনজীবী বলেন, ‘সঞ্জয় গোটা সময় জেলে ছিলেন। জামিন পাননি। তাই তাঁকে যেন ফাঁসির সাজা না দেওয়া হয়।’

এর পর খুনি সঞ্জয়ের সঙ্গে কথা বলেন বিচারক। সঞ্জয় বিচারককে বলেন, আমার মা মারা গেছেন। বাবা অসুস্থ। ২ মেয়ের বয়স ১২ ও ১৩ বছর। তাই তাঁকে যেন ফাঁসির সাজা না দেওয়া হয়।

সব পক্ষের বক্তব্য শুনে এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরতলম বলে আখ্যা দেন বিচারক দাস। এর পর সঞ্জয় সেনের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *