Shopping Mall: ‘পাঁচতলা মল পুরোটাই…’ প্রতিটি জেলা সদরে তৈরি হবে শপিং মল

Spread the love

জেলা সদরে শপিং মল। ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই একথা ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। ঝাড়গ্রাম শহরেও এই ধরনের শপিং মল করা হবে। সেই সঙ্গেই রাজ্যের সমস্ত জেলা সদরগুলিতে এই ধরনের শপিং মল তৈরি করা হবে। সরকারি উদ্যোগে তৈরি হবে সেই শপিং মল। কী ধরনের সামগ্রী বিক্রি হবে এই শপিং মলে সেটাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী।

তিনি জানিয়েছেন, শপিংমলের দুটি তলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য রাখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্য়ের ২৩টি জেলার হেডকোয়ার্টারে এক একর করে জমি নিচ্ছি। সেখানে যে মল করা হবে তার নীচের দুটি তলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জিনিসপত্র বিক্রি করা হবে। বাকি তিনটি তলায় বিভিন্ন দোকান থাকবে।

কীভাবে এই শপিং মল তৈরি হবে, কারা তৈরি করবে সেকথাও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমরা জমিটা দেব। বাকি বিল্ডিং বেসরকারি সংস্থা তৈরি করবে। একটা সিনেমা হলও থাকবে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছে, রাজারহাটে আদিবাসী ভবন তৈরি করা হয়েছে। ঝাড়গ্রামে ও কালিম্পং জেলাতেও তেমনি আদিবাসী ভবন তৈরি করা হবে।

যেমন কোচবিহারের শীতলপাটি। এই শীতলপাটি কোচবিহারের একাধিক জায়গায় তৈরি হয়। এমনকী বিদেশেও রফতানি করা হয়। কিন্তু কোচবিহার জেলা সদরে এই ধরনের শপিং মল তৈরি হলে আর সেখানে এই ধরনের শীতলপাটি বিক্রির সুযোগ থাকলে আখেরে সুবিধা হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলির। আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, বহরমপুর, দিঘা, মেদিনীপুর, মালদা এবং চন্দননগর এখানে সবার আগে এই শপিং মল হতে পারে।

তাছাড়া একাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে যারা আচার তৈরি করে। বিভিন্ন হস্তশিল্পের সামগ্রী তৈরি করে। এবার সেগুলি এই ধরনের শপিং মলে বিক্রি হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও এই ধরনের সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে সংগ্রহ করতে পারবেন। এককথায় অভিনব উদ্যোগ।

তবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই বিপনন কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। মূলত এই শপিং মল তৈরি হলে সবথেকে বড় বিষয় হল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অত্যন্ত সুবিধা হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মূল সমস্যা যেটা থাকে সেটা হল তাদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করার মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হয় না। যার জেরে সমস্যায় পড়ে যায় তারা। তবে এবার জেলা সদরে এুই ধরনের শপিং মল তৈরি হলে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলি তাদের উৎপাদিত সামগ্রী সেখানে বিক্রি করার সুযোগ পাবেন। এতে তাদের বিক্রিবাটা বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *