Shweta Khan Case Latest Update। ডোমজুড়ের পর্নকাণ্ডের শ্বেতাকে নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

Spread the love

ডোমজুড়ে পর্নোগ্রাফি কাণ্ডে পলাতক শ্বেতা খানের নাম জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যের শাসক দলের সংখ্যালঘু সেলে ছিল শ্বেতা। প্রায়শই দেখা পাওয়া যেত মিছিল বা সভায়। মন্ত্রী অরূপ রায়-সহ আরও একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গেও শ্বেতার ছবি ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেই আবহে শ্বেতাকে ধান্দাবাজ তকমা দিয়ে তৃণমূলের থেকে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করলেন শাসক দলের নেতারা।

অরূপ দাবি করেছেন, শ্বেতার সঙ্গে তাঁর আলাপ-পরিচয় ছিল না। চেনেন না ওই মহিলাকে। এমনকী তৃণমূলের সদস্য ছিল কিনা, সে বিষয়েও তাঁর বিন্দুমাত্র ধারণা নেই বলে দাবি করেছেন অরূপ। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, শ্বেতার মতো লোকজন প্রভাব বিস্তারের জন্য এরকম কাজ করতে পারে। আর ওই মহিলা যদি তৃণমূলে থাকে, তাহলে তাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে দাবি করেছেন অরূপ।

আবার বিষয়টি নিয়ে হাওড়ার বাঁকড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আখতার হোসেন মোল্লা দাবি করেছেন, আগে সিপিআইএমের সঙ্গে যুক্ত ছিল শ্বেতা। মারধর করেছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে। হাতিয়ে নিয়েছিল সম্পত্তি। সেইসঙ্গে রূপ দেখিয়ে যে কোনও ধরনের কাজ হাসিল করে নিত। সুন্দরী মহিলা ছিল। তবে শ্বেতাকে তৃণমূলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন বাঁকড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।

আর শ্বেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, সেটা সামনে এসেছে সোদপুরের এক তরুণীর নির্যাতনের ঘটনার পরে। অভিযোগ উঠেছে, ডোমজুড়ের একটি বাড়িতে ওই তরুণীকে মাসপাঁচেক আটকে রেখেছিল শ্বেতা ও তার ছেলে আরিয়ান। করা হত মারধর এবং যৌন নির্যাতন। ওই তরুণী কোনওক্রমে পালিয়ে এসে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই শ্বেতার বিভিন্ন কীর্তি সামনে এসেছে।

অভিযোগ উঠেছে, কাজের টোপ দিয়ে কম বয়সি মহিলাদের ফাঁসাত শ্বেতা এবং আরিয়ান। তাঁদের ডেকে আনত। তারপর জোর করে পর্নোগ্রাফির ব্যবসায় নামিয়ে দিত। এমনকী প্রোডাকশন হাউসও খুলেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিকবার শ্বেতার নামে অভিযোগ করেছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *