পাঁচ রানে সাত উইকেট পড়ল – শ্রীলঙ্কার প্রথম একদিনের ম্যাচে সেরকমই ভয়াবহ ধসের মুখে ৭৭ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। একটা সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১৬,৩ ওভারে এক উইকেটে ১০০ রান। সেখান থেকে ২০.৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর আট উইকেটে ১০৫ রানে ঠেকে। শেষপর্যন্ত ৩৫.৫ ওভারে ১৬৭ রানে অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
অথচ একটা সময় ম্যাচটা বাংলাদেশের হাতেই ছিল। শ্রীলঙ্কার ২৪৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারালেও বাংলাদেশকে টানতে থাকেন তানজিদ হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁরা ৭১ রান যোগ করেন। কিন্তু ১৬.৩ ওভারে শান্ত রান-আউট হতেই বাংলাদেশের ইনিংসে ভয়াবহ ধস নামে।
১৬.৩ ওভারের আগে পর্যন্ত ম্যাচটায় মোটামুটি বাংলাদেশই এগিয়ে ছিল। কারণ কলম্বোয় প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রানেই অল-আউট হয়ে যায়। পাঁচে নেমে অধিনায়ক চরিথ আসালঙ্কা শতরান না করলে শ্রীলঙ্কার অবস্থা আরও ভয়াবহ হত। একটা সময় শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল তিন উইকেট ২৯ রান (৬.১ ওভার)। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কাকে কিছুটা ভদ্রস্থ স্কোর নিয়ে যান আসালঙ্কা। ১২৩ বলে ১০৬ রান করেন। তাছাড়া ৪৩ বলে ৪৫ রান করেন কুশল মেন্ডিস। অন্যদিকে তিন মাস পরে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। দুটি মেডেনও দেন। তিনটি উইকেট পান তানজিম হাসান সাকিব।

কিন্তু বোলারদের সেই দারুণ পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা। তিনে নামা শান্ত করেন ২৩ রান। ওপেনার তানজিদ হাসান ৬২ রান করেন। চারে নামা লিটন দাস এবং মেহদি হাসান মিরাজ কোনও রান করতে পারেননি। তৌহিদ হৃদয় করেন এক রান। এক রান করেন তানজিম। জাকের আলি ৬৪ বলে ৫১ রান করে বাংলাদেশকে আরও লজ্জার মুখে পড়তে দেননি।