SSKM থেকে ফেরতের টোপ দিয়ে লুট লক্ষ-লক্ষ টাকা

Spread the love

সময় মতো থানায় মোবাইল চুরির অভিযোগ জানিয়ে, চুরি যাওয়া সিম কার্ড ব্লক করেও রেহাই পেলেন না এসএসকেএম-এর এক চিকিৎসক। জালিয়াতরা তাঁর মোবাইল ফেরত দেওয়ার অছিলায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্ট থেকে তুলে নিল লক্ষ লক্ষ টাকা!

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল মাসে (২০২৫) হাসপাতালে ডিউটি করার সময়েই এসএসকেএম-এর ওই চিকিৎসক তাঁর মোবাইলটি হারান। সেটি চুরি যায় বলেই আশঙ্কা। ওই চিকিৎসক ও তাঁর পরিবার দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরের বাসিন্দা। মোবাইল চুরি যাওয়ার পর তিনি ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেইসঙ্গে, খোয়া যাওয়া সিম কার্ডটিও ব্লক করে দেন।

এরপর ওই চিকিৎসকের বাবা তাঁর মোবাইলে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন পান। তাতে অচেনা এক ব্যক্তি জানান, তিনি চিকিৎসকের মোবাইলটি কুড়িয়ে পেয়েছেন এবং সেটি ফেরত দিতে চান। কিন্তু, সেটি তিনি কীভাবে দেবেন? এই অছিলায় ওই ব্যক্তি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ।

অন্যদিকে, চিকিৎসক নতুন ফোন কিনে এবং পুরোনো মোবাইল নম্বরেই নতুন সিম কার্ড কিনে ব্যবহার করতে শুরু করেন। হঠাৎ তাঁর নতুন মোবাইলে একের পর এক মেসেজ ঢুকতে শুরু করে।

তাতে তিনি জানতে পারেন, তাঁর যাদবপুরের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে তিনটি লেনদেনের মাধ‌্যমে তুলে নেওয়া হয়েছে ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা। এর পাশাপাশি যাদবপুরেরই আরও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে চারটি লেনদেনের মাধ্যমে ৩১ হাজার ১০০ টাকা, এলগিন রোডের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব‌্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে আটটি লেনদেনের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং যোধপুর পার্কের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে থেকে ৬ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে! সব মিলিয়ে তাঁর চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লুট হয়েছে মোট ২ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকারও বেশি।

এই লুট চালানো হয়েছে অনলাইনে – আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, যেহেতু চিকিৎসকের মোবাইলেই তাঁর সবক’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য় ছিল, তাই জালিয়াতরা সেই মোবাইলে অন্য সিম কার্ড ঢুকিয়ে প্রথমে সেই তথ্য হাসিল করে।

তারপর মোবাইল ফেরত দেওয়ার অছিলায় আরও কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য হাতিয়ে নেয়। আর, তারপরই তারা একের পর এক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লুট করতে শুরু করে। পুলিশ সেই সূত্র ধরেই লুটেরাদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *