পুরুষদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রানরেটের রেকর্ড গড়ল মালয়েশিয়া। ন্যূনতম ৫০ রান করার ক্ষেত্রে যে দলের সবথেকে রানরেট বেশি, সেই তালিকার শীর্ষে মালয়েশিয়া উঠে এল। মালয়েশিয়ার রানরেট ছিল ২৩.৫৭। এতদিন সেই রেকর্ড ছিল রোমানিয়ার ঝুলিতে। সেটা ভেঙে দিল মালয়েশিয়া। হংকংয়ের বিরুদ্ধে ১৪ বলে ৫৫ রান তুলে সেই নজির ভেঙেছে।
শনিবার সিঙ্গাপুরে এশিয়া প্যাসিফিক ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটা বৃষ্টির জন্য পাঁচ ওভারের করে দেওয়া হয়। প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৫২ রান তোলে হংকং। জবাবে মাত্র ২.২ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৫ রান তুলে জিতে যায় মালয়েশিয়া। নয় বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকলেন সইদ আজিজ। স্ট্রাইক রেট ৪০০। আর পাঁচ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন আসলাম খান।তবে সেই ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের গণ্ডি ছাড়িয়ে পুরুষদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ফেলেছে মালয়েশিয়া। সইদদের রানরেট ছিল ২৩.৫৭। এতদিন রোমানিয়া সেই রেকর্ডের মালিক ছিল। ২০২১ সালে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে রোমানিয়ার রানরেট ছিল ২০.৪৭। ২০১৯ সালে ভানুয়াতুর বিরুদ্ধে পাপুয়া নিউগিনির রানরেট ছিল ২০। আর ২০২৪ সালে বৎসোয়ানার বিরুদ্ধে নাইজেরিয়ার রানরেট ছিল ১৮।

হংকংয়ের হয়ে ছয় বলে ১১ রান করেন জিশান আলি। সর্বোচ্চ ১২ বলে ২৭ রান করেন অ্যাংশি রথ। তিনটি চার এবং একটি ছক্কা মারেন তিনি। মালয়েশিয়ার হয়ে দুটি উইকেট নেন বীরণদীপ সিং। দু’ওভারে ১৬ রান খরচ করেন। একটি উইকেট পান বিজয় উন্নি। এক ওভারে ১২ রান দেন তিনি। ৪.৫ ওভারে রান-আউট হয়ে যান রথ। তিনি একটু বেশি বল খেলার সুযোগ পেলে মালয়েশিয়ার সামনে লক্ষ্যমাত্রা আরও কিছুটা বাড়ত।যদিও তাতে মালয়েশিয়াকে রোখা যেত কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ ৫৩ রান তাড়া করতে নেমে হংকংয়ের বোলারদের ছিঁটেফোটা রেয়াতে করেননি মালয়েশিয়ার দুই ওপেনার। এহসান আলির প্রথম ওভারেই ২৮ রান তোলে মালয়েশিয়া। দ্বিতীয় ওভারে ওঠে ১৫ রান। বাকি রানটা তুলে নেওয়ার জন্য দুই বলের বেশি লাগেনি মালয়েশিয়ার। পরশ সিংয়ের প্রথম দুটি বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচটা মালয়েশিয়াকে জিতিয়ে দেন সইদ।