থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে উত্তেজনা থামাতে এবার ময়দানে নেমেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ‘বাণিজ্য হুঁশিয়ারির’ পরই অবশ্য নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেল দুই দেশের সংঘাত। কম্বোডিয়ার সেনারা থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের ‘তা কোয়াই’ মন্দিরের কাছে থাই বাহিনীর উপর গুলি চালিয়েছে। যদিও উভয় দেশের প্রকাশ্য বিবৃতি যুদ্ধবিরতির চুক্তির ইঙ্গিত দেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কূটনীতির মাধ্যমে শান্তি চুক্তির মধ্যস্থতা করেছেন বলে দাবি করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল দুই দেশের মধ্যে। থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের তা কোয়াই মন্দিরের কাছে রবিবার ভোরে থাই সেনাদের ওপর গুলি চালায় কম্বোডিয়ার সেনারা। যদিও এর আগে থাইল্যান্ডের বিদেশ মন্ত্রণালয় শনিবার রাতে ঘোষণা করে যে তারা কম্বোডিয়ার সাথে যুদ্ধবিরতিতে ‘নীতিগতভাবে’ সম্মত হয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে রবিবারের সীমান্তে নতুন করে সংঘর্ষের জেরে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে। কম্বোডিয়ার কর্মকর্তারা শনিবার নতুন করে ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এর জেরে এই সংঘাতে তাদের মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী আরও এক সৈন্য নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে, এতে থাইল্যান্ডে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। থাইল্যান্ডে মৃতদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক।

প্রসঙ্গত, সংঘাত শুরুর পর থেকে উভয় দেশই ভারী আর্টিলারি এবং রকেট ফায়ার করে চলেছে একে অপরের ওপরে। এই আবহে কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী নেথ ফেকত্রা জানিয়েছেন, তিনটি সীমান্তবর্তী প্রদেশ থেকে ১০ হাজার ৮৬৫টি কম্বোডিয়ান পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। থাই কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, সীমান্তের কাছের গ্রামগুলো থেকে ১ লাখ ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এই সবের মাঝে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়াকে লড়াই থামাতে বলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুদ্ধ না থামালে বাণিজ্য করবে না আমেরিকা। এরই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, থাই-কম্বোডিয়া যুদ্ধের আবহে তাঁর ভারত-পাক সংঘাতের কথা মনে পড়ছে। ট্রাম্প জানান, তিনি থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীদের ফোন করে বলেছেন, সংঘাত না থামালে তিনি কোনও দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য করবেন না।