TMCর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির শ্লীলতাহানির অভিযোগ TMCরই বিরুদ্ধে

Spread the love

কলকাতার কসবায় আইন কলেজের ছাত্রীকে কলেজের ভিতরেই TMCP নেতার গণধর্ষণের ঘটনার পর যখন রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে তখন দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য দিবালোকে শ্লীলতাহানি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুললেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। ঘটনা সিউড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এহেসানুল হক অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করেছেন।

সিউড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতি জানিয়েছেন, রবিবার দলের এক নেতার নির্দেশে তিনি পঞ্চায়েত সমিতির কাজ সংক্রান্ত কয়েকটি কাগজে সই করতে গিয়েছিলেন। সই করে বেরিয়ে আসার সময় দলেরই কয়েকজন নেতাকর্মীর হাতে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁর ওড়না ধরে টানাটানি শুরু করে অভিযুক্তরা। এমনকী গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন এক তৃণমূলকর্মী। আহত তৃণমূলকর্মী সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এহেসানুল হক বলেন, আমাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়নি যে একজন মহিলাকে বেলা ১২টার সময় টেনে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় তৃণমূল নেতা নুরুল ইসলামের সঙ্গে এহেসানুলের গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নুরুলের গোষ্ঠীর সদস্য। তাই এহেসানের গোষ্ঠীর হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।

বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই নরুলই বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেননি। একচ্ছত্রভাবে পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদের আসন পর্যন্ত দখল করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *