TMC Leader’s claim on Haryana Bengali Harassment। হরিয়ানায় ‘বাঙালি গ্রেফতার’ নিয়ে সরব TMC

Spread the love

বাংলাভাষীদের ভিনরাজ্যে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মাঝে দিল্লি, ওড়িশা, কেরল, রাজস্থান, গুজরাট, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে সরকার। তবে তৃণমূলের অভিযোগ, এই সব ধৃতরা আসলে পশ্চিমবঙ্গবাসী। এই সবের মাঝে সম্প্রতি হরিয়ানায় ধরা পড়ে এক অবৈধবাসী বাংলাদেশি। এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতীম। তবে পরে তিনি সেই ভিডিয়োটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে মুছে দেন। এর আগে নিজের পোস্টে অবশ্য পার্থপ্রতীম দাবি করেছিলেন, পুলিশ যাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, সেই ব্যক্তি নাকি কোচবিহারের বাসিন্দা।

পার্থপ্রতীম রায়ের অভিযোগ ছিল, বিভিন্ন জায়গায় বাংলাভাষীদের আটকানো হয়। মারধর করে গাড়িতে করে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। পোস্ট করা ভিডিয়োতে দেখা যায়, একজন মহিলাকে পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছেন কয়েকজন। সেই মহিলা উঠতে না চাওয়ায় তাঁকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। অবশ্য নিজের পোস্টে তিনি দাবি করেছিলেন, এই ভিডিয়োর সত্যতা তিনি যাচাই করেননি। পরে জানা যায়, তিনি যে দাবি করছেন, তা পুরোপুরি ঠিক নয়। এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই দেখা যায়, তৃণমূল নেতার সোশ্যাল মিডিয়া ওয়াল থেকে সেই পোস্ট উধাও। পরে নিজের সাফাইতে তৃণমূল নেতা পোস্ট করে লেখেন, ‘আমি কিছুক্ষণ আগে জানতে পারি এই ভিডিওটি হরিয়ানার অন্য একটি ঘটনার। তাই ভিডিওটি তুলে নিলাম। কিন্তু এটা ঠিক হরিয়ানার গুরুগ্রাম জুড়ে বাঙ্গালী শ্রমিকদের উপর হয়রানি চলছে।’

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সবচেয়ে বড় চর্চার বিষয় হল ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর ‘অত্যাচার’। তৃণমলের অভিযোগ, বাংলাভাষী হলেই তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। এরই মাঝে বিজেপি দাবি করছে, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিভাষী কাউকেই দেশছাড়া করা হয়নি। অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদেরই চিহ্নিত করেই আটক করা হচ্ছে। এই সব বিষয়ে রাজনৈতিক তরজার মাঝেই পার্থপ্রতীম হরিয়ানার ঘটনা নিয়ে সরব হন। পরে অবশ্য তিনি ‘ব্যাকফুটে’ চলে যান।

এর আগে সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সমিরুল ইসলাম বিজেপিকে তোপ দেগে দাবি করছেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের নাকি বাংলা বলার অভিযোগে বাংলদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই আবহে এক পরিবারের কথা উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টও করেছিলেন সমিরুল। তবে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি দাবি করেন, সমিরুল যে পরিযায়ীদের কথা বলছেন, তাঁরা আসলেই বাংলাদেশি। এই সবের মাঝেই ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষা আন্দোলনের ঘোষণা করেন। এবার এই পশ্চিমবঙ্গেই বাংলাদেশি অবৈধবাসী ধরা পড়ল ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র সমেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *