ট্রেনের টিকিটে প্রবীণ নাগরিকদের ছাড়ের নিয়ম ফিরছে? কোভিড মহামারীর সময় সেই ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছিল। কোভিডের প্রভাব কেটে যাওয়ার পরে বিভিন্ন মহলের তরফে ছাড় ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি তোলা হলেও ভারতীয় রেল সেই পথে হাঁটেনি। অবশেষে ২০২৫ সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৬ সালের গোড়ার দিকেই পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে ছাড় ফেরানো হল?
সেই প্রশ্নটা যে উঠতে শুরু করেছে, তার নেপথ্যে আছে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে কয়েকটি শ্রেণির ট্রেনের টিকিটের ক্ষেত্রে প্রবীণ নাগরিকদের ফের ছাড় দেওয়া হবে। এসি থ্রি-টিয়ার, এসি চেয়ার কার, স্লিপার ক্লাসে টিকিট কাটলে প্রবীণ নাগরিকরা ছাড় পাবেন বলে ওই পোস্টে দাবি করা হয়।
যদিও ভারতীয় রেলের তরফে সেরকম কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে অতীতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করেছিলেন, এমনিতেই ট্রেনের টিকিটে প্রত্যেক যাত্রীকে ৫৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। উদাহরণ দিয়ে তিনি দাবি করেছিলেন যে ১০০ টাকাকে ভিত্তি ধরলে টিকিটে প্রত্যেক যাত্রীর থেকে মোটে ৪৫ টাকা নেয় ভারতীয় রেল। অর্থাৎ ট্রেনের টিকিট কাটলে প্রত্যেক যাত্রী ৫৫ টাকা ছাড় পান বলে দাবি করেছিলেন রেলমন্ত্রী।অতীতে ট্রেনের টিকিটে অবশ্য বাড়তি ছাড় পেতেন প্রবীণ নাগরিকরা। ৫৮ বছর বা তার বেশি বয়সের মহিলাদের প্রতিটি শ্রেণির টিকিটে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হত।

পুরুষ এবং তৃতীয় লিঙ্গের যাত্রীদের ক্ষেত্রে ছাড়ের অঙ্কটা ছিল ৪০ শতাংশ। ৬০ বছর বা তার বেশি বয়স হলে তবেই ছাড় দেওয়া হত। সবমিলিয়ে রেল যে পরিমাণ ছাড় দিত, সেটা টাকার নিরিখে বিচার করলে প্রায় ৮০ শতাংশই প্রবীণ নাগরিকদের খাতে চলে যেত।কিন্তু ২০২০ সালের ২০ মার্চ থেকে প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনের টিকিটের ক্ষেত্রে ছাড় তুলে নেওয়া হয়। রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেই তথ্য জানানো হয়েছিল। রেলের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, কোভিডের সংক্রমণ রুখতে এবং ট্রেনে করে যাতায়াতের ক্ষেত্রে প্রবীণ নাগরিকদের যে ঝুঁকি আছে, সেটার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।