দেবাংশীর সিঁথিতে সিঁদুর পরালেন রূপান্তরকামী পুরুষ শান

Spread the love

ভালোবাসা কখনও লিঙ্গ,ধর্ম,জাত,পাত দিয়ে হয় না তা প্রমাণ করলেন দেবাংশী ও শান।ভালোবাসা থাকলে সব বাধা বিপত্তি কাটিয়েও চার হাত এক করা সম্ভব। ১৫ জুন দেবাংশীর সিঁথিতে সিঁদুর পরালেন উত্তরপাড়ার রূপান্তরকামী পুরুষ।আর দেবাংশী হলেন একজন রূপান্তরকামী মহিলা।দুইজন দীর্ঘ দুই বছর প্রেম করার পর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।শুরুটা আর পাঁচজনের মতন ছিল না তাদের।বয়স খুবই কম,দেবাংশীর বাড়ি মধ্যমগ্রামে।তিনি জন্মগতভাবে মহিলা ছিলেন না,একজন পুরুষ হয়ে জন্ম নিয়েছিলেন।কিন্তু তিনি নিজের মন, মানসিকতা দিক থেকে নিজেকে একজন নারী হিসেবে মনে করতেন।যার কারণে বন্ধু, আত্মীয়,স্কুলে নানা কটূক্তির শিকার হোন তিনি।যত বয়স বেড়েছে দেবাংশী বিশ্বাস চৌধুরী বুঝতে পেরেছেন তার ভিতরে যে সত্তাটা আছে তা পুরুষের নয়,এক মহিলার।নিজেকে তিনি মহিলা হিসেবেই দেখতে চেত।এরপর পারিবারিক সমস্যা পেরিয়ে তিনি ট্রান্স মহিলা হওয়ার সমস্ত ধরনের চিকিৎসা শুরু করেন।এই জার্নিতে দেবাংশীর পাশে ছিলেন তার মা।এছাড়াও ছিলেন দিদি, জামাইবাবু।

ঠিক তেমনই শান চৌধুরী একজন মহিলা হয়ে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি নিজেকে পুরুষই ভাবতেন।আর সেই ভাবনা থেকে ট্রান্স পুরুষ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শানবাবু।তবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বহু সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল তাকেও। সব বাধা বিপত্তি কাটিয়ে দেবাংশী ও শান প্রথম দেখা হওয়ার পরই love at First sight এর মতনই দুজন দুজনের প্রেমে পড়ে যান।এরপরই তারা একে অপরকে বিষয়টি জানায়,তবে শান চৌধুরীর একজন প্রাক্তন ছিলেন যিনি ৫ বছর সম্পর্ক রাখার পর তাকে ছেড়ে চলে যান,তখনই ভেঙে পড়েন শান।আর কোনও সম্পর্কে জড়াবে না বলে ঠিক করেন তিনি।কিন্তু দেবাংশীকে দেখে সেই কথা ধরে রাখতে পারেননি তিনি।

দেবাংশীর কথা,যত্ন, ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে গেছিলেন শান।শান দেবাংশীকে বলেন সম্পর্ক রাখলে তারা বিয়ে পর্যন্ত যাবে,আর সেই বিয়ে তাড়াতাড়ি করবেন।অবশেষে ভালোবাসার দাম রেখেছেন প্রেমিকযুগল। ১৫ই জুন সাত পাকে বাধা পড়েন শান ও দেবাংশী।তারা একে অপরকে ছাড়া এক মুহুর্তই থাকতে পারেন না।প্রকৃত ভালোবাসা থাকলে বিশ্বে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। তা প্রমাণ করলেন শান দেবাংশী।
ইনিউজবাংলার তরফ থেকে নবদম্পতিকে জানাই অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আগামী দিনের যাত্রা শুভ হোক এই কামনাই রইল।

https://www.facebook.com/share/v/1Aw9eH7bbY

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *