১৯৫০-এর দশকের প্রথম দিকে ভারতে প্রথম সম্প্রচারিত হয় টেলিভিশন সিরিয়াল। ১৯৭০-এর শেষের দিকে বা ১৯৮০- এর প্রথম দিকে টিভি অনুষ্ঠানগুলি সেই ভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে ১৯৮০ দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় টেলিভিশন জগতের স্বর্ণযুগ।
১৯৮০ থেকে ২০০০ সালের মাঝামাঝি নাগাদ দূরদর্শনে সম্প্রচারিত সিরিয়ালগুলি দেখার জন্য রীতিমতো অপেক্ষা করে থাকতেন দর্শকরা। তবে এর মধ্যেই এমন একটি ধারাবাহিক রয়েছে, যেটি সম্প্রচারিত হয়েছিল ১৯৮৭ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৮ সালে জুলাই মাস পর্যন্ত। এই ধারাবাহিকের তৈরি রেকর্ড আজ পর্যন্ত ভাঙতে পারেনি বিগ বস বা নাগিনও।
বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই ধারাবাহিকের প্রথম এবং পুন:সম্প্রচার দেখেছে প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন মানুষ অর্থাৎ ৬৫ কোটি মানুষ। যেখানে নাগিনের টিআরপি ১০, বিগবস- এর ১২, মহাভারতের ২২.৯, সেখানে এই ধারাবাহিকের টিআরপি ছিল ২২.৪। ২১ শতকের এটি একমাত্র ভারতীয় ধারাবাহিক, যেটি জনপ্রিয়তার দিক থেকে শীর্ষ ৫ স্থানে রয়েছে।

এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কোন ধারাবাহিকের কথা বলা হয়েছে। ঠিকই বুঝেছেন, এই ধারাবাহিকটি ছিল রামানন্দ সাগর পরিচালিত ‘রামায়ণ’, যার জনপ্রিয়তা তিন দশক পরেও একইরকম ভাবে অব্যাহত রয়েছে।
মেঘনাদ এবং লক্ষণ-এর যুদ্ধের এপিসোডগুলি প্রায় ৭.৭ কোটি মানুষ দেখেছিল। এছাড়াও লব-কুশকে যে পর্বগুলিতে দেখানো হয়েছিল, অর্থাৎ এই ধারাবাহিকের শেষ পর্বটির টিআরপি ছিল ৬৭.১, যেখানে তামিল ধারাবাহিক অপেরা মেট্টি ওলিও টিআরপি অর্জন করতে পেরেছিল ৪৮.৩।
তবে রামায়ণের এই বহুল জনপ্রিয়তা শেষ করে দিয়েছিল পর্দার রাম ওরফে অরুণ গোভিল, সীতা ওরফে দীপিকা চিখালিয়া, লক্ষণ ওরফে সুনীল লাহোরির কেরিয়ার। দর্শকরা এই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আর অন্য কোনও চরিত্রে দেখতেই চাইলেন না, ফলে রামায়ণের জনপ্রিয়তা থমকে দিল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কেরিয়ার।