এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনায় ভারতকে সাহায্যর বার্তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এই নিয়ে গতরাতে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প দাবি করলেন, আহমেদাবাদের এই দুর্ঘটনা বিমান পরিবহণের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এদিকে যে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল, সেটি বোয়িংয়ের। সেটি মার্কিন সংস্থা। তাই তদন্তে আমেরিকা অংশ নেবেই।
ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘এই বিমান দুর্ঘটনাটি মর্মান্তিক ছিল। আমি ইতিমধ্যেই ভারতকে বলেছি, আমরা যা কিছু করতে পারি, করব। তারা অনেক বড় একটা দেশ। তারা নিজেরাই বিষয়টি সামলাতে পারবে বলে আমি নিশ্চিত। তবে আমি জানিয়েছি, আমরা যদি সাহায্যের জন্য কিছু করতে পারি… আমরা সেখানে তাৎক্ষণিক ভাবে পৌঁছে যাব।’
এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এখনও কেই সঠিক ভাবে জানে না যে কী কারণে এই দুর্ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। আমরা সবাই দেখেছি, প্রথমে প্লেনটিকে দেখে মনে হয়েছিল যে এটা ঠিক ভাবেই উড়ছে। কোনও বিস্ফোরণ দেখা যায়নি। দেখে মনে হল যে হয়ত ইঞ্জিনগুলি পাওয়ার হারিয়ে ফেলেছিল। ওহ বয়! এটা খুব ভয়াবহ দুর্ঘটনা ছিল।’

এদিকে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ভারতকে বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সাহায্যের বার্তা দেয়। পরে মার্কিন ন্যাশনাল ট্র্যান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড জানায়, মার্কিন তদন্ততকারী দল ভারতে যাচ্ছে। ভারত ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিমান দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্তের ঘোষণা করছে। ভারতের এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর সঙ্গে মিলে মার্কিন তদন্তকারীরাও দুর্ঘটনাক কারণ খোঁজার চেষ্টা চালাবেন। এদিকে ব্রিটেনও একটি তদন্তকারী দল পাঠাচ্ছে ভারতে। উল্লেখ্য, লন্ডনগামী সেই বিমানে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন।