Trump on Israel-Iran strike। পরমাণু চুক্তিতে সই করুন! নাহলে সব শেষ করে দেব

Spread the love

ট্রাম্প বলেছেন, ‘চুক্তির জন্য আমি ইরানকে সুযোগ দিয়েছিলাম। কঠোরতম ভাষায় ওদের বলেছিলাম যে চুক্তিটা করে নিন। ওরা যতই কঠোর পরিশ্রম করুক না কেন, যতই চুক্তি স্বাক্ষরের কাছে পৌঁছে যাক না কেন, দিনের শেষে সেটা করতে পারেনি। আমি ওদের বলেছিলাম; ওরা যা ভাবতে পারে, যা আন্দাজ করতে পারে বা যা শুনেছে, তার থেকেও ভয়ংকর কিছু হবে।’

সংবাদমাধ্যম এবিসির রিপোর্টারের রেকর্ড করা ইন্টারভিউয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কড়া ভাষায় বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমার মতে, এটা দুর্দান্ত হয়েছে। আমরা ওদের একটা সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা ওরা গ্রহণ করেনি। যতটা আঘাত পাওয়ার কথা, ওরা ততটাই আঘাত পেয়েছে। আরও অনেক কিছু আসছে…আরও অনেক বেশি।’

সেইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘(পরমাণু) চুক্তির জন্য দু’মাস আগে আমি ইরানকে দু’মাসের সময়সীমা দিয়েছিলাম। ওদের সেই চুক্তি করে নেওয়া উচিত ছিল। আর আজ হল ৬১ তম দিন।’ তবে ইজরায়েল যে ইরানে একের পর এক হামলা চালিয়েছে, সামরিক বাহিনীর একাধিক কমান্ডারকে হত্যা করেছে, সেই মিশনে আমেরিকা যুক্ত ছিল না বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। 

শুক্রবার ইরানের অভ্যন্তরে প্রায় ১০০টি ‘টার্গেটে’ হামলা চালায় ইজরায়েল। তেল আভিভের তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ চালিয়ে ইরানের পরমাণু কেন্দ্র, ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় হামলা চালানো হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে ইরানের সামরিক বাহিনীর একাধিক শীর্ষকর্তা এবং বিজ্ঞানীকে। তারা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, যেখান থেকে পিছু হটে আসার কোনও সুযোগ নেই।

পালটা ইরানের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইজরায়েল যুদ্ধের ঘোষণা করে দিয়েছে। আর সেটার ভয়ংকর ফল ভুগতে হবে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট পালটা ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানে আরও ভয়াবহ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে ফেলা হয়েছে। সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আগে পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করে নেওয়া উচিত। নাহলে কোনও কিছুর অস্তিত্ব থাকবে না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *