এর আগে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থামানোর কৃতিত্ব দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এবার ওয়াশিংটন দাবি করল, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনিকে ‘বাচিয়েছেন’ ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন আধিকারিক দাবি করলেন, ইজরায়েল নাকি খামেনিকে মারার পরিকল্পনা করেছিল। তবে সেই পরিকল্পনায় ‘ভেটো’ দিয়েছে আমেরিকা।
এর আগে ইজরায়েলের হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান থেকে শুরু করে ইসলামিক বিপ্লপী গার্ডের প্রধান প্রাণ হারিয়েছেন। ইরানের গোয়েন্দা প্রধানও মারা গিয়েছেন ইজরায়েলের হামলায়। এছাড়া আরও একাধিক ইরানি সামরিক কর্তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ইজরায়েল। এর পাশাপাশি ইরানের অন্তত ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকেও মেরেছে ইজরায়েল।এই সবের মাঝেই নাকি ইজরায়েল পরিকল্পনা করেছিল খামেনিকে মেরে ফেলার। এর আগে ইজরায়েল হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল এই নিয়ে। তারা স্পষ্ট জানিয়েছিল, ইজরায়েল প্রয়োজনে খামেনির ওপরেও হামলা করতে পারে। ইজরায়েল ইতিমধ্যেই খামেনির এক উপদেষ্টাকে মেরেছে। এই সবের মাঝে এবার আমেরিকা দাবি করল, খামেনিকেই মেরে ফেলার ছক কষেছিল ইজরায়েল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই নিয়ে দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরানিরা এখনও পর্যন্ত কোনও মার্কিনিকে হত্যা করেনি। এই আবহে ইরানের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে মারার বিষয়ে তারা সায় দিতে পারেন না। এদিকে রবিবারও ট্রাম্প বলেন, ‘যেমন ভাবে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থেমেছে, তেমনই ভাবে ইজরায়েল-ইরান সংঘাত থামুক।’ এদিকে খামেনিকে হত্যা করার ছক নিয়ে আমেরিকার এই দাবি প্রসঙ্গে মার্কিন সংবাদসংস্থা ফক্স নিউজ সরাসরি প্রশ্ন করে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে। যদিও এই নিয়ে আমেরিকার কর্মকর্তাদের কথা পুরোপুরি উড়িয়ে দেন নেতানিয়াহু। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘এই নিয়ে কখনও আলোচনাই হয়নি। এমন অনেক বিষয় নিয়ে খবর প্রকাশিত হচ্ছে তাও। আমি এই নিয়ে কিছু বলতে চাই না।’

এদিকে আমেরিকা ইজরায়েলের কাঁধে বন্দুক রেখে ইরানের দিকে গুলি চালানোর চেষ্টা করছে। অপরদিকে ইরানও এবার আমেরিকাকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছে। ইরানের বিদেশমন্ত্রী রবিবার বলেছেন, তাদের কাছে প্রমাণ আছে যে আমেরিকা ইজরায়েলি হামলায় মদত দিয়েছে। এর আগে ইরান দাবি করেছিল, তাদের ওপর হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিম ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালাবে ইরান। তবে ইরান যাতে সেই হামলা না চালায়, তার জন্য ইজরায়েলি হামলার থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে আমেরিকা। আবার ইজরায়েলি হামলাকে হাতিয়ার করে ইরানকে ধমকি দিতেও ছাড়ছে না আমেরিকা।