মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লাটনিক বললেন যে চিনের সাথে বাণিজ্য আলোচনা ‘সত্যিই ভালো চলছে’ এবং মঙ্গলবার রাতের (মার্কিন সময়) মধ্যে আলোচনা শেষ করা যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে তিনি সঙ্গে এও বলেছেন যে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে কথা এগিয়ে নিয়ে যেতে মার্কিন কর্মকর্তারা বুধবারও লন্ডনে উপস্থিত থাকবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য আলোচনার জন্য আমেরিকা ও চিনা কর্মকর্তারা ব্রিটেনে রয়েছেন। এই আবহে মার্কিন বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আমি মনে করি আলোচনা সত্যিই খুব ভালো হচ্ছে। আমরা অনেকটা সময় এবং প্রচেষ্টা এবং শক্তি ব্যয় করছি – প্রত্যেকে তাদের মাথা নীচু করে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছেন। “
লাটনিক লন্ডনের ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আমি আশা করি আজ সন্ধ্যায় শেষ হবে আলোচনা, তবে যদি প্রয়োজন হয় তবে আমরা আগামিকাল এখানে থাকব, তবে আমি আশা করি তারা আজ সন্ধ্যায় শেষ হবে।’ এদিকে এই আলোচনা নিয়ে এক ট্রেজারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্কট বেসেন্ট ও চিনের উপ-প্রধানমন্ত্রী হে লিফেংয়ের নেতৃত্বাধীন দলগুলো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কারিগরি বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, চিনের সাথে বাণিজ্য আলোচনা ‘ভালো হওয়া’ নিয়ে লাটনিকের মন্তব্যের ফলে মঙ্গলবার মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে। বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির কর্মকর্তারা লন্ডনে এমন একটি বিরোধ নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছেন, যা খনিজ পদার্থের ওপর শুল্ক থেকে নানা বিধিনিষেধ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর আগে সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চিনের সঙ্গে ভালো কাজ করছি। চিন সহজ নয়। তবে আলোচনা থেকে আপাতত শুধু ভালো খবরই পাচ্ছি।’মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চিন বাণিজ্য যুদ্ধের জেরে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক দেশের উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছিলেন ক্ষমতায় আসার কয়েকদিন পরপরই। এর জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন একটি বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। ওয়াশিংটন ধাপে ধাপে বেজিংয়ের পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল, আর চিন পালটা আমেরিকান পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।

১২ মে দুই দেশ একে অপরের ওপর আরোপিত কিছু শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য ৯০ দিনের একটি চুক্তিতে পৌঁছায়। তবে, সাময়িক স্থগিতাদেশের আবহে মার্কিন-চিন বৃহত্তর বিষয়গুলির সমাধান করেনি। ফেন্টানিলের অবৈধ বাণিজ্য থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানের অবস্থা, বেজিংয়ের প্রভাবশালী অর্থনৈতিক মডেল সম্পর্কে মার্কিন অভিযোগের কোনও বিষয়ই সমাধান করা হয়নি এখনও।