কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি থেকে মার্কিন যুদ্ধবিমান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হল রিপোর্টে। সম্প্রতি কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটির স্যাটেলাইট চিত্রগুলি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যায় – কোনও মার্কিন যুদ্ধবিমানই সেখানে নেই। ইরানের হামলা থেকে মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলিকে রক্ষা করতে সেগুলিকে সেখান থেকে সরানো হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসির প্রকাশিত এবং এএফপির বিশ্লেষণ করা ছবি অনুসারে, ৫ থেকে ১৯ জুনের মধ্যে, আল উদেইদ ঘাঁটিতে দৃশ্যমান প্রায় সমস্ত বিমান আর আগের জায়গায় নেই। এর আগে কাতারের এই ঘাঁটিতে আমেরিকার প্রায় ৪০টি বিমান দেখা যেত। যুদ্ধবিমান ছাড়াও পরিবহণ বিমান থাকত সেখানে। তবে সর্বশেষ ১৯ জুন তোলা ছবিতে মাত্র ৩টি বিমান দেখা গিয়েছে টারম্যাকে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইজরায়েল-ইরান সংঘাতে হস্তক্ষেপ করবে কিনা তা নিয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল এই তথ্য। ট্রাম্পকে উদ্ধৃত করে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের বলেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বা নাও হতে পারে। তবে আলোচনার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন।’এর আগে বুধবার ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি ইজরায়েলের হামলায় যোগ দেওয়ার বিকল্পটি বিবেচনা করছেন। তিনি এও দাবি করেছিলেন যে চলমান সংঘাত অবসানের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ করেছে ইরান। এদিকে ইরানে হামলা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি এটা করতেও পারি, আবার নাও করতে পারি।’

ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে পারি, ইরান অনেক সমস্যায় পড়েছে এবং তারা আলোচনায় বসতে চায়।’ উল্লেখ্য, ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের সাতদিন কেটে গিয়েছে। এই আবহে বৃহস্পতিবারও দুই দেশ একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তেহরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে।