রবিবার লস অ্যাঞ্জেলেসের পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের বিক্ষোভ থামাতে সেখানে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের বেনজির সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর প্রতিক্রিয়ায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে আসে। লস অ্যাঞ্জেলেসের প্রধান ফ্রিওয়ে বন্ধ করে দেয় প্রতিবাদীরা। স্বচালিত যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারীরা ভিড় নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট এবং ফ্ল্যাশ ব্যাং ব্যবহার করতে বাধ্য হয়।দেখা যায়, লস অ্যাঞ্জেলেসের কোথাও কোথাও কিছু পুলিশ ঘোড়ার পিঠে করে রাস্তায় টহল দিচ্ছিল এই দাঙ্গা পরিস্থিতি সামাল দিতে। অনেক পুলিশকে আবার দাঙ্গা প্রতিরোধকারী সরঞ্জাম নিয়ে ফেডারেল বিল্ডিংগুলি রক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। সেখানে ন্যাশনাল গার্ডও মোতায়েন ছিল। এদিকে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে কিছু অভিবাসীকে যে আটক কেন্দ্রে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে দুদিন ধরে তীব্র বিক্ষোভ চলছিল। যেখানে যেখানে পুলিশ বাধা দিয়েছিল, সেখানে প্রতিবাদীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাতও হয়েছে। তবে এই আন্দোলনের তৃতীয় দিনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন হতেই পরিস্থিতি যেন আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ফেডারেল বাহিনীর ৩০০ জওয়ান লস অ্যাঞ্জেলেসে পৌঁছলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক এবং ক্ষোভের সঞ্চার হয়। আগুন জ্বলে রাস্তায়।
রবিবার বেল গড়াতেই শ’য়ে শ’য়ে মানুষ লস অ্যাঞ্জেলেসের মেট্রোপলিটান ডিটেনশন সেন্টারের সামনে এসে জড়ো হয়। ন্যাশনাল গার্ডের উদ্দেশে ‘গো হোম’ স্লোগান তোলেন তারা। সেখানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। এরপর রবার বুলেটও ছুড়তে শুরু করে এলএ পুলিশ। এরপরই সেই বিক্ষোভকারীরা গিয়ে ১০১ নং ফ্রিওয়ে অবরোধ করে। পরে ক্যালিফোর্নিয়া হাইওয়ে প্যাট্রোল এসে সেই জায়গা থেকে বিক্ষোভকারীদের সরায়।

এদিকে এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চিঠি লিখেছেন গভর্নর তথা ডেমোক্র্যাট নেতা গ্যাভিন নিউসম। তিনি দাবি করেছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করায় পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, এভাবে একতরফা ভাবে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করে প্রদেশের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করছে ফেডারেল প্রশাসন। এই আবহে ন্যাশনাল গার্ড প্রত্যাহার করার আবেদন জানান তিনি। এদিকে লস অ্যাঞ্জেলের মেয়র ক্যারেন ব্যাস বলেন, ‘প্রশাসন নাগরিক সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ করছে না, বরং এর নেপথ্যে অন্য লক্ষ্য আছে।’