USA on China Tariff & India talks। ২৪৫% শুল্ক চাপিয়ে চিনের সঙ্গে ‘ভালো চুক্তির’ বার্তা ট্রাম্পের

Spread the love

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প(Donald Trump) চিনের সাথে শুল্ক দ্বন্দ্বে নরম হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তারা চিনের সাথে বাণিজ্য নিয়ে খুব ‘ভালো চুক্তি’ করতে পারবে। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই চিন ও যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক যুদ্ধে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চিনের ওপর ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেও এখন ট্রাম্পের মনোভাব নরম হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে হোয়াইট হাউজে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া ম্যালোনির সামনে বসে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা চিনের সঙ্গে খুব ভালো একটি চুক্তি করতে যাচ্ছি।’ 

এরই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন, শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে আমরা বেশ ভালো কাজ করছি। অেক দেশ আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহী। আমি যতটনা না চুক্তি করতে আগ্রহী তার থেকে বেশি এখন তারা চুক্তি করতে আগ্রহী।’ আর এরপর মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট দাবি করেন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের মতো দেশগুলি ইতিমধ্যেই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে।

এদিকে চিন প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, চিনের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। ২ এপ্রিল ঘোষিত ‘মুক্তি দিবস’ বৈশ্বিক শুল্ক নীতির আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এর পরে চিনও প্রতিশোধ হিসাবে শুল্ক বাড়িয়েছে। যার জেরে পালটা শুল্ক বাড়িয়েছে আমেরিকাও। এই আবহে বর্তমানে চিনের ওপর সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে বসে আছে ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে শুল্ক যুদ্ধ এবং বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার সরাসরি কথা হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাব জানতে চাওয়া হলে তা এড়িয়ে যান ট্রাম্প।

এর আগে মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ করেছিল, গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম এবং অ্যান্টিমনিসহ গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ প্রযুক্তির উপকরণের সবরাহ সীমাবদ্ধ করার অভিযোগ করেছে চিন। সামরিক, মহাকাশ এবং সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এগুলি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ছয়টি ভারী বিরল পৃথিবী ধাতু এবং বিরল পৃথিবী চুম্বকের রফতানি স্থগিত করেছিল চিন। এর আগে গত ১১ এপ্রিল চিন মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছিল। এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চিনা আমদানির ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা করেছিলেন। আর এবার চিনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়তে বাড়তে ২৪৫ শতাংশের গণ্ডি ছুঁয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *