সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’তে ওই মহিলা বলেন, ‘আমার বাবার দোষ কী? এই বিমানে ওঠাটাই (আমার বাবার দোষ ছিল?) এয়ার ইন্ডিয়াকে বলুন, আমি ওদের এক কোটি টাকা দেব, আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিন। আপনাদের কারণেই আমার বাবা আজ আর নেই। আপনাদের সবকিছু খতিয়ে দেখা উচিত ছিল। কেন আপনারা খতিয়ে দেখেননি? এক কোটি টাকায় আমার বাবাকে কিনবেন আপনারা?’
এয়ার ইন্ডিয়াকে দুষে ওই মহিলা আরও বলেছেন, ‘ওরা বলছে যে এক কোটি টাকা দেবে। আমি ওদের বলতে চাই যে আমি আপনাদের দু’কোটি টাকা দেব। আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিন শুধু। আমি এয়ার ইন্ডিয়াকে চ্যালেঞ্জ করছি। আমি টাকা নিয়ে কী করব, যখন আমার বাবাকেই আর ফিরিয়ে আনতে পারব না?’সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই টাকাটা দিয়ে আমি যদি একটা বিছানাও কিনি, আমি আর কীভাবে শুতে পারব? আমি বাবার ভালোবাসা আর কোথা থেকে পাব? সেটা কি আপনাদের টাকা দিয়ে কিনতে পারব? পুরোটা ছেলেখেলায় পরিণত করেছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। যদি আপনারা ঠিকভাবে পরিষেবা দিতে না পারেন, তাহলে এয়ার ইন্ডিয়া বন্ধ করে দিন। আমার বাবা বলত, এয়ার ইন্ডিয়া আমার দেশের। সেটার পরিবর্তে কী মিলল?’
বৃহস্পতিবার আমদাবাদে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটার কারণ কী, তা আপাতত স্পষ্ট নয়। সম্ভাব্য কারণ হিসেবে একাধিক কারণ উঠে আসছে। কিন্তু ঠিক কী হয়েছে, তা তদন্তের পরই বোঝা যাবে। আমদাবাদের দমকল বাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অভিশপ্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা বিপর্যয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করতে পারে।

ওই অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারে (এআই-১৭১) মোট ২৪১ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজনই জীবিত আছেন বলে প্রাথমিকভাবে খবর মিলেছে। বাকি ২৪১ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে যে এলাকায় বিমান ভেঙে পড়েছে, সেখানকারও কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। আপাতত ডিএনএ স্যাম্পেলিংয়ের কাজ চলছে। কারণ এমনই অবস্থা হয়েছে যে মৃতদেহ চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।