বিহারের ভোটার তালিকায় যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) চলছে, তাতে পরিচয়পত্রের তালিকায় আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডকেও অন্তর্ভুক্ত করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিকভাবে বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর (এসআইআর) জন্য কোন কোন পরিচয়পত্র গৃহীত হবে, তার যে তালিকা প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন, তাতে আধার ও ভোটার কার্ডকে রাখা হয়নি।
যদিও সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেছে, ‘আগামিকাল আপনারা হয়তো দেখবেন যে শুধুমাত্র আধার কার্ড নয়, ১১টি নথিই (কমিশনের প্রকাশিত তালিকায় ১১টি নথি ছিল) জাল করা হচ্ছে। সেটা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু গণহারে নাম বাদ দিচ্ছি আমরা। (আদতে) গণহারে নাম অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আধারও অন্তর্ভুক্ত করুন দয়া করে।’আর সুপ্রিম কোর্ট সেই মন্তব্য করেছে একগুচ্ছ মামলার প্রেক্ষিতে। চলতি বছরের শেষের দিকে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২৪ জুন কমিশনের তরফে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। সেটি চ্যালেঞ্জ করে একগুচ্ছ মামলা দায়ের করা হয় শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীদের দাবি, সংবিধানের ১৪ ধারা, ১৯ ধারা, ২১ ধারা, ৩২৫ ধারা এবং ৩২৬ ধারাকে লঙ্ঘন করেছে।
যদিও কমিশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, সংবিধানের ৩২৪ ধারা এবং ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের ২১ (৩) ধারার আওতায় এরকম কাজ করার অধিকার আছে। শহরাঞ্চলে মানুষের বসবাস স্থানান্তর, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন এবং ভোটার তালিকার সত্যতা নিয়ে উদ্বেগের মতো কারণে বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর পথে হাঁটা হয়েছে। যা প্রায় ২০ বছরে নিবিড়ভাবে সংশোধন করা হয়নি। আর ভুয়ো আধার ও রেশন কার্ড সহজেই পাওয়া যায়।

কমিশনের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী সওয়াল করেন, রেশন কার্ড নিয়ে অনেক সমস্যা আছে। আর কমিশন আধার গ্রহণ করছে। তবে সেইসঙ্গে আরও একটি নথি লাগছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রশ্ন করা হয়, কেন শুধু ভোটার কার্ড, আধার কার্ডের মতো নথিই জাল করা যাবে? তাই আধার এবং ভোটার কার্ডকে বিবেচনা করতে বলেছে শীর্ষ আদালত।